করোনায় ঘরবন্দী তারকাদের শরীরচর্চা
বড় পর্দার তারকা আরিফিন শুভর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ঘুরে এলে বোঝা যায় কতটা শরীরচর্চার ভক্ত এই চিত্রাভিনেতা। শুভর কথা, সিনেমাতে চরিত্র অনুযায়ী ব্যায়ামাগারে গিয়ে শারীরিক গঠন তৈরি করেন। কখনো ওজন কমাতে হয় তো কখনো বাড়াতে হয়। তারপরও সারা বছর ব্যায়ামাগারে যান নিজেকে ঠিক রাখতে, সুস্থ রাখতে। তিনি বলেন, ‘“মিশন এক্সট্রিম” ছবিটি করার আগে আমার একধরনের শারীরিক গঠন দরকার ছিল। সামনে একটি নতুন চরিত্র করব, ওজন কমবে। ছবির শুটিং শুরুর আগে ওজন কমাব। আর এখন যেহেতু কোনো কাজ নেই, তাই ব্যায়ামাগারে না গেলেও চলবে। তবে নিজে সুস্থ থাকতে শরীরচর্চার বিকল্প নেই। প্রতিদিনই সকাল–সন্ধ্যা বাসার ছাদে এক থেকে দেড় ঘণ্টা করে হাঁটছি। পাশাপাশি কিছু ব্যায়াম করছি। আপাতত এটুকুই। খাবারটা নিয়ন্ত্রণে রাখছি। এই তো।’
ছোট পর্দার অভিনেতা আফরান নিশো এখনো ঘরে বসে ব্যায়াম শুরু করেননি। তবে জানালেন, শিগগির শুরু করবেন। নিশো বলেন, ‘অনেক দিন বাসায় আছি। ওজন বেড়ে যাওয়ার ভয়ে ছিলাম। তবে খাবারটা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছি। সমস্যা হয়নি। যেহেতু বাসায় ব্যায়ামাগারের যন্ত্রপাতি নাই, তাই ঘরোয়াভাবেই ব্যায়াম শুরু করব। এটাও শরীর সুস্থ রাখতে কাজে দেবে।’
সিয়াম নজর দিচ্ছেন ঘরোয়া শরীরচর্চা ও খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণের ওপর। সিয়াম বলেন, ‘দীর্ঘদিন বাসায় থাকলে খাবারের অভ্যেসটা পরিবর্তন হয়। সেই সুযোগ দিচ্ছি না আমি। ব্যায়ামাগারের বিকল্প হিসেবে খাওয়াদাওয়া নিয়ন্ত্রণ করছি। রাতে ভারী খাবার খাচ্ছি না। কারণ, স্বাস্থ্য কমানোর সুযোগ নেই। পাশাপাশি আধা ঘণ্টা করে শরীরচর্চা করছি। আপাতত এই অবস্থা।’
ঘরবন্দী থাকায় শরীরচর্চায় অনিয়ম হচ্ছে বড় পর্দার অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়ার। খাবারের তালিকা পরিবর্তন হওয়ায় ওজনও বেড়েছে। তাই এরই মধ্যে বাসায় ভিন্ন পথে শরীরচর্চার কাজ শুরু করেছেন তিনি। ফারিয়া বলেন, ‘অনেক দিন বাসায় থাকার কারণে কিছুটা ওজন বেড়ে গিয়েছে। প্রশিক্ষকের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় বিকল্পভাবে কাজ শুরু করছি। তা ছাড়া বাসায় নিয়মিতই মায়ের কাজে সহযোগিতা করছি। এটিও শরীরচর্চা হিসেবে কাজে দিচ্ছে।’
বিদ্যা সিনহা মিমেরও শরীরচর্চায় ব্যাঘাত ঘটছে বাসায়। তিনি বলেন, ‘ব্যয়ামাগার বন্ধ হওয়ার কারণে বাসায় নিয়মিত শরীরচর্চা হচ্ছে না। জিমের মতো বাসায় ভালোভাবে শরীরচর্চার সুযোগ নেই। তবুও হাঁটছি, দৌড়াচ্ছি। কিন্তু তা নিয়ম করে হয়ে উঠছে না। জিমে গেল একটা নিয়মের মধ্যে থেকে কাজটি করা যায়। বাসায় সেটি হচ্ছে না। ফলে শরীরও ঠিক রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’