মালয়েশিয়ার রেস্তোরাঁয় বিল দিয়ে খাচ্ছে এক বানর দম্পতি!
ডেস্ক রিপোর্ট : পৃথিবীতে কোনো কিছুই অসম্ভব নয়। অধ্যাবসায় এবং ইচ্ছাশক্তি থাকলে সবকিছুকেই আয়ত্তে আনা সম্ভব। তেমনি এক নজির সৃষ্টি করেছে মালয়েশিয়ায় এক বানর দম্পতি। ডেইলি বাংলাদেশ
এই দম্পতি আর ৫ জন বিবাহিত পুরুষ ও নারীদের মতোই জীবনযাপন করে। নিজেদের কাজ সুন্দরভাবে গুছিয়ে করা থেকে বিছানায় একসঙ্গে ঘুমানো সব কিছুই করছে মানুষের মতো। এমনকি তারা একসঙ্গে রেস্তোরাঁয়ও খেতে যায়। সম্প্রতি, এমনই এক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এই পুরুষ বানরটির নাম কান্দ। নারী বানরের নাম সাকি। এই দম্পতির মালিক কুয়ালালামপুরে জামিল ইসমাইল। জামিল পেশায় একজন পশুপ্রেমী। জামিল জানিয়েছে, পুরুষ বানরটিকে একটি নার্সারিতে বন্দি অবস্থায় দেখতে পেয়েছিলেন তিনি কিন্তু পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় কান্দকে কিনে নিতে পারেননি। এরপর নার্সারিটি দেউলিয়া হয়ে যায়।
ফলে, সমস্ত প্রাণীকে ছেড়ে দেয়া হয়। তখনই কান্দকে বাড়ি নিয়ে আসেন জামিল। তার কথায়, রাস্তার মাঝখানে বসেছিলো কান্দ। তখন মাত্র একবছর বয়স। বাড়ি নিয়ে চলে আসি। এরপর কান্দের স্ত্রী খোঁজার কাজ শুরু করেন জামিল। এরপর তার প্রাক্তণ শিক্ষক পেরাকের মাধ্যমে সাকিকে কিনে বাড়ি নিয়ে আসেন।
বানর দু’জনই সমবয়সী। দীর্ঘ ৯ বছর জামিলের বাড়িতে দম্পতির মতোই থাকছে কান্দ-সাকি। বানর দম্পতিকে সমাজের আদব-কায়দা শেখাতে জামিলের প্রায় চার বছর লেগেছে। জামিলের কথায়, প্রথম প্রথম দু’জনই বাড়ি নোংরা করে রাখত। ফ্রিজ থেকে খাবার বের করে খেয়ে ফেলত। ঘরের জিনিসপত্রও ভেঙে ফেলত। এক সময় এরা আমার মাথা ব্যথার কারণ হয়ে গিয়েছিলো। এমনকি অ্যাকোয়ারিয়াম পর্যন্ত ভেঙে ফেলত। দেখতাম মাছগুলো মেঝেতে পড়ে আছে।
জামিলের প্রতিবেশীরা প্রচুর সমালোচনাও করেছেন কিন্তু কান দেননি জামিল। ধীরে ধীরে আদবকায়দা শিখতে শুরু করে বানর দম্পতি। আর এখন? ইন্টারনেটেও সিদ্ধহস্ত দু’জন।এর আগে আগস্টে এই বানর দম্পতির আরো একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছিলো। সেখানে দেখা গিয়েছিলো, দু’জনে কাপড় কাচতে ব্যস্ত।