ফ্যাশনে বর্ষার ছাতা
লাইফস্টাইল ট্যাংক : প্রকৃতিতে চলছে এখন বর্ষাকাল। বর্ষার প্রয়োজনীয় জিনিসটি হল ছাতা। গল্পের মতই আষাঢ়ের আকাশে এমনিতেই নেই কোনো ভরসা। তার ওপর ভর করেছে জলবায়ু বিবর্তনে প্রকৃতির বিরুপ আচরণ। এই বৃষ্টি নামছে তো পরক্ষণেই প্রখর রোদ।
আর রোদ-বৃষ্টি থেকে নিজেকে রক্ষার একমাত্র উপায় হলো ছাতা মাথায় পথচলা। তাই এবারের ঈদে ছাতাও হয়ে উঠেছে যেন ফ্যাশনেরই অনুসঙ্গ। বর্ষা এবং ঈদের সংমিশ্রণ আমেজে রাজধানীর দোকানগুলোতে বেড়েছে ছাতার বেচাকেনা।
বায়তুল মোকারম মার্কেটের সামনের দোকানে এক নারী দীর্ঘক্ষণ ধরে টিপ ছাতা নেড়েচেড়ে দেখছেন। বিক্রেতাও হাসি মুখে ওই ক্রেতাকে দেখিয়ে চলেছেন বিভিন্ন রঙের ছাতার কালেকশন। একটা ছাতা কিনতে এতো দেখার কি আছে! আর বিক্রেতাই বা বিরক্ত না হয়ে হাসিমুখ কেন! ক্রেতা নারী বলে? সব বিষ্ময়েরই উত্তর মিললো রহিম নামে ওই বিক্রেতার কথায়।
পরে বিক্রেতা রহিম জানায়, ‘একসঙ্গে তিনডা ছাতা লইছেন ওই আফাই এবং হগলই হের ঈদের পোশাকের সঙ্গে মিল রাইখা। অতক্ষণ ধইরা তিনি উনার নতুন জামার সঙ্গে ছাতার রঙ মিলাইতেছিলেন’।
এদিকে শ্যামলীর কয়েকটি ছাতার দোকানে গেলে জানা যায়, এবারের বর্ষা মৌসুমে তাদের ছোট সাইজের ছাতা (টিপ ছাতা) বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে ঈদকে ঘিরেও বেড়েছে এই ছাতা বিক্রি। দোকানে আসছেন নারী ক্রেতারা এবং কিনছেন বিভিন্ন রঙিন ছাতা। তবে বিক্রি কমেছে বড় ছাতার।
শ্যামলী স্কয়ার মার্কেটের ছাতা ব্যবসায়ী নজরুর ইসলাম জানান, এখন হাল ফ্যাশনের কারণে সবাই ছোট ছাতা ব্যবহার করে। তাছাড়া ১৩০ থেকে ৫০০ টাকা দামের মধ্যে ভালো মানের ছাতা পাওয়া যায়। বড় ছাতার দাম একটু বেশি। তবে সব জায়গায় ব্যবহার উপযোগী নয় বলে এখন কেউ বড় ছাতা ব্যবহার করতে চায় না। তিনি আরও জানান, শংকর ব্রান্ডের ছাতা সব থেকে বেশি বিক্রি হচ্ছে।