275712

বাংলাদেশের অনুরোধে পি কে হালদারকে গ্রেফতার করেছে ভারতীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী ‘ইডি’

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে গ্রেফতার প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদারকে বাংলাদেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন।

এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ সরকারের অনুরোধেই ভারতের পশ্চিমবঙ্গের সরকার পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে।  বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থা তাদের জানিয়েছিল অর্থপাচারের সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি সেখানে অবস্থান করছেন।  সে তথ্যের ভিত্তিতে পি কে হালদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  এখন তাকে বাংলাদেশে এনে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।

পি কে হালদার গ্রেফতারের পরের দিন সোমবার (১৫ মে) সুপ্রিম কোর্টের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন অ্যাটর্নি জেনারেল।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও ভারতের বন্দি বিনিময় চুক্তির আলোকে পি কে হালদারকে দেশে ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে।  তাকে ফিরিয়ে আনার জন্য সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হবে।  কারণ সে জনগণের টাকা পাচার করেছে।  ভারতে বিভিন্ন জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অবস্থান করে আসছিলেন।  সেটা তাদের নিজস্ব বিষয়। কিন্তু আমাদের যে অর্থপাচারের বিষয়টা, আর্থিক কেলেঙ্কারির বিষয় আদালতে বিচারাধীন রয়েছে।  সেই মামলায় তাকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে।  আশা করছি, দ্রুত সময়ের মধ্যে তাকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে।

আরেক প্রশ্নের জবাবে এ আইন কর্মকর্তা বলেন, বাংলাদেশের এজেন্সিগুলোর দেওয়া তথ্যের ভিত্তিকে পি কে হালদারকে গ্রেফতার করা হয়েছে।  বাংলাদেশের সংস্থাগুলো পি কে হালদারের বিষয়ে তৎপর। তৎপরতার কারণেই তাকে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে।  আমাদের দেশের যে টাকা ভারতে পাচার করা হয়েছে। আমরা তা ফেরত আনার চেষ্টা করবো।  কারণ এটা জনগণের টাকা।

অন্যদিকে, প্রায় সাড়ে তিন হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করে প্রশান্ত কুমার (পি কে) হালদার যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে বিদেশে পালিয়ে গেছেন বলে তথ্য দিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের (এসবি) ইমিগ্রেশন শাখা।

 

পাঠকের মতামত

Comments are closed.