275387

পশ্চিমাপন্থি রাশিয়ানদের ‘বিশ্বাসঘাতক ও দেশদ্রোহী’ বললেন পুতিন

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন পশ্চিমাপন্থি রাশিয়ানদের ‘জাতীয় বিশ্বাসঘাতক’ বলে আখ্যা দিয়েছেন।  বুধবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি এই মন্তব্য করেন।  ইউক্রেনে আগ্রাসনের পর থেকে পুতিন যে কোনো ভিন্নমতকে তার বিরুদ্ধাচরণ বলে মনে করছেন এবং তা কঠোর হাতে দমনের চেষ্টা করছেন। 

বুধবার টেলিভিশনে ভাষণ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, পশ্চিমা শত্রুদের তথ্যের ওপর নির্ভর করে জাতীয় বিশ্বাসঘাতকরা- যারা আমাদের এখানে অর্থ উপার্জন করে কিন্তু সেখানে থাকে তারা আমাদের বিরুদ্ধাচরণ করছে।  আমি বলতে চাচ্ছি, ‘সেখানে বসবাস’ শব্দের ভৌগোলিক অর্থেও নয়, তবে তাদের চিন্তাভাবনা, দাসত্ব পশ্চিমাদের চেতনা অনুসারে।

তিনি বলেন, এই লোকগুলো আবার জেন্ডার স্বাধীনতা ছাড়া বাঁচতে পারে না।

পুতিন বলেন, কিয়েভ পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করতে চায়।  পশ্চিমা দেশগুলো বিভিন্ন সময়ে এ ব্যাপারে কিয়েভকে সহায়তার আশ্বাসও দিয়েছে।  এটি সত্যিকার অর্থেই রাশিয়ার জন্য হুমকি ছিল।  কারণ নিকট ভবিষ্যতেই পশ্চিমের সহায়তায় কিয়েভের নব্য নাৎসিপন্থি শাসক দল ব্যাপক বিধ্বংসী পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করে ফেলত এবং নিশ্চিতভাবেই সেসব ব্যবহার করত আমাদের বিরুদ্ধে।

তিনি বলেন, কিন্তু তাদের এ অভিপ্রায় সফল হবে না।  ইউক্রেনে রাশিয়া তার লক্ষ্য অর্জন করবেই।

ইউক্রেনে অভিযান শুরুর পর এক নিষেধজ্ঞা জারির সমালোচনা করে পুতিন বলেন, পশ্চিমা দেশগুলো আগে থেকেই রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা জারির প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিল এবং এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনের সামরিক অভিযানকে তারা অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করেছে।

তিনি আরও বলেন, তারা একদম খোলাখুলিভাবে রাশিয়ার প্রতি তাদের বৈরী মনোভাব ব্যক্ত করেছে।  রাশিয়াকে শক্তিশালী ও সার্বভৌম রাষ্ট্র হিসেবে তারা দেখতে চায় না বরং চায় একটি দুর্বল ও নির্ভরশীল রাশিয়া তাদের পছন্দ। 

তিনি বলেন, এই দেশকে তারা খণ্ড-বিখণ্ড করতে চায় এবং একঘরে করে রাখতে চায়।  ভণ্ডামিপূর্ণ কথাবার্তার আড়ালে পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো তাদের নিষ্ঠুর অভিপ্রায় বাস্তবায়নের চেষ্টা করছে।

 

 

পাঠকের মতামত

Comments are closed.