274957

জেলে পাঠানো নানার চিঠিই পরীমনির শক্তির উৎস

কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে ২৭ দিন পর বাসায় ফিরেছেন চিত্রনায়িকা পরীমণি।  কারামুক্ত হওয়ার পর তাকে বেশ খোঁজ মেজাজেই দেখা গেছে। কারাগারের সামনে ভক্তদের সঙ্গে সেলফিও তুলেন তিনি।  কারাগার থেকে অনেকটা রানীর মতোই বের হয়েছেন পরী।  প্রায় এক মাস কারাভোগের পরও এতটা প্রাণবন্ত কীভাবে ছিলেন তিনি জানালেন এই নায়িকা?

আজ রোববার (৫ সেপ্টেম্বর) তার প্রাণবন্ত থাকা ও শক্তির উৎসের জানান দিয়েছেন পরীমণি।  তাকে জেলে পাঠানো নানা শামসুল হকের লেখা একটি চিঠি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশ করে নায়িকা লিখেছেন- ‘একটা চিঠি, আমার সব শক্তির গল্প এখানেই।’

পরীর পোস্ট করা সেই চিঠিতে দেখা যাচ্ছে, সেখানে তাকে উদ্দেশ্য করে নানা শামসুল হক লিখেছেন- ‘নানু, আমি ভালো আছি, কোনো চিন্তা করবা না।  শিগগিরই তোমার সাথে দেখা হবে।’  চিঠির নিচে সাক্ষরও করে দিয়েছিলেন নানা।

জেল থেকে বেরিয়ে পরী জানিয়েছিলেন, ‘কোনো অনুভূতি নেই।  অনুভূতি হারিয়ে ফেলেছি। আমার যে রেগুলার লাইফ, সে লাইফ তো ছিল না।  পুরোপুরি অন্য একটা জীবন।  যে জীবনের কথা অন্য একদিন বলব।  এই ২৭ দিনের জার্নি আমাকে অনেক কিছু শিখিয়েছে।’

এদিকে সেদিন পরীর হাতের তালুতে মেহেদির রঙে একটি লেখা সকলের নজর কাড়ে।  তাতে ইংরেজিতে লেখা ছিলো- ‘ডোন্ট লাভ মি বিচ’।  পরীর হাতের সেই লেখা নিয়ে অনেকের মনেই প্রশ্ন জাগে, কাকে/কাদের উদ্দেশ্যে এমন বার্তা দিলেন নায়িকা।

সে প্রসঙ্গে গণমাধ্যমে পরী জানান, ‘এটা আসলে সব ‘বিচদের’ জন্য, যারা উপরে উপরে আমাকে ভালোবাসা দেখায়।  এরা এখন আবার আমার কাছে আসবে।  আমার চারপাশে ঘুরবে।  আমাকে ভালোবাসা দেখাবে।  তাদের উদ্দেশ্যেই এ বার্তা।’

তিনি আরও জানান, ‘এসব মানুষকে আমার খুব ভালোভাবেই চেনা হয়েছে।  আসলে যারা আমাকে চেনেন, তারা কিছু বললে আমার খারাপ লাগে।  যারা চেনেন না, তারা বললে কোনো খারাপ লাগে না।  কারণ তারা তো আমাকে চেনেনই না।  আমি কোথা থেকে এসেছি, কীভাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেছি, তার কিছুই তো জানেন না তারা।  জানলে হয়ত আমাকে নিয়ে কটূ কথা বলতেন না। খারাপ লাগে, যারা জেনেও পেছনে কথা বলেন।  আমি ভেঙে পড়ার মেয়ে না।  ভেঙে পড়লেও তো উঠে দাঁড়াব।  আমাকে যারা চেনেন, তারা জানেন, আমি কেমন।  আমি এখন দ্রুত কাজে ফেরার অপেক্ষা করছি।’

 

পাঠকের মতামত

Comments are closed.