274824

নিজেদের যোদ্ধাদের সাথে বিয়ে দিতে মেয়ে শিশু খুঁজছে তালেবান

আফগানিস্তানে নিজেদের যোদ্ধাদের সঙ্গে জোর করে বিয়ে দিতে মেয়ে শিশুদের খোঁজ করছে তালেবান। নিজেদের দখলকৃত এলাকায়, অবিবাহিত ১২ থেকে ৪৫ বছর বয়সী নারীদের তালিকা তৈরি করতে স্থানীয় নেতাদের নির্দেশ দিয়েছে তারা।  সম্প্রতি এমন তথ্য উঠে এসেছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলে।  জঙ্গিগোষ্ঠীটির আগ্রাসনে পালিয়ে যাচ্ছে নারী-শিশুরা।

১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত তালেবান শাসনামলে, আফগানিস্তানে নারীদের বোরকা পরা ছিলো বাধ্যতামূলক।  মেয়েদের বয়স ১০ বছর পেরুতেই স্কুল যাওয়া ছিল নিষিদ্ধ।  শরিয়া আইনের নামে চালু ছিল দোররা ও পাথর ছুড়ে হত্যার মতো ভয়ঙ্কর শাস্তি। ২০ বছর পর, আবারও তালেবানের দখলে আফগানিস্তানের বেশিরভাগ এলাকা।  এমন পরিস্থিতিতে, তালেবানের বর্বরতা নিয়ে শঙ্কিত নারীরা।

নারী অধিকারকর্মী জারমিনা কাকার বলেন, তালেবানের শাসনামলে, ছোটবেলায় মা যখন আমাকে আইসক্রিম খাওয়াতে নিয়ে যায়। তখন মার মুখ দেখা গেলে, তালেবানের সদস্যরা অনেক অপমান করে।  সেই অসহায়ত্ব আজো ভুলিনি।  আবারো একই রকম হতে যাচ্ছে।  তালেবান ক্ষমতায় আসলে, সেই কালো অধ্যায়ে ফিরে যেতে হবে আমাদের।

নিজেদের দখলকৃত এলাকায়, মেয়েদের স্কুল বন্ধ করে দিয়েছে তালেবান।  নারীদের বোরকা ছাড়া বাইরে না বেরোতে নির্দেশ দিয়েছে তারা।  শরিয়া আইন অমান্যকারীদের কঠোর শাস্তির হুঁশিয়ারি দিয়েছে জঙ্গিরা।

আফগানরা বলেন, পুরুষ ছাড়া বাজারে যেতে পারবে না, কোনো নারী।  যাদের পরিবারে পুরুষ সদস্য নেই, তারা কী করবে? অনেকেই তাদের স্বামী হারিয়েছে, তারা কীভাবে চলবে?

বহু নারীকে বাড়ি থেকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করার অভিযোগ উঠেছে তালেবান যোদ্ধাদের বিরুদ্ধে।  ব্রিটিশ গণমাধ্যম ডেইলি মেইলে বলা হয়, মসজিদের বক্তাদের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ও পুলিশ সদস্যদের স্ত্রী ও বিধবাদের নাম হস্তান্তরের আদেশ জারি করেছে তারা।

কাবুলে আশ্রয়প্রার্থী জার বেগম বলেন, আমার চোখের সামনে আমার ছেলেকে গুলে করে হত্যা করে তালেবান।  তারা আমার পুত্রবধুকে জোর করে বিয়ে করে।  আশপাশে বাড়ি থেকে তিন/চার নারীকেও বিয়ে করে তারা।  বাধ্য হয়ে আমরা সেখান থেকে পালিয়ে যাই।

 

পাঠকের মতামত

Comments are closed.