271982

বাবা-মা অবহেলা করলেও মানুষের যত্নে বেড়ে উঠছে সাদা বাঘশাবকটি

বাবা-মায়ের গায়ের রঙ হলুদের ডোরাকাটা হলেও ছোট্ট মেয়েটার ধবধবে সাদা। কিন্তু বাচ্চার দিকে ফিরেও তাকান না বাবা-মা। তাই বাবা-মায়ের অভাব পূরণের চেষ্টা করে যাচ্ছে এক দম্পতি। আদর করে তার নাম দেয়া হয়েছে, ‘নিয়েভে’। স্প্যানিশ ভাষায় যার অর্থ তুষার। নিকারাগুয়ার এদুয়ার্দো সাকাসা ও মারিনা আরগুয়েল্লোই দম্পতি তাকে লালন পালন করছেন।
আনন্দবাজারর প্রতিবেদন অনুসারে, এদুয়ার্দো নিকারাগুয়ার মাসায়া-র একটি চিড়িয়াখানার প্রধান। তিনি আর মারিনা মিলে সেখানে প্রায় ৭০০ জীবজন্তুর দেখভাল করছেন। বাঘ অনেক থাকলেও পৃথিবীতে সাদা বাঘ খুব কম দেখা যায়। নিকারাগুয়ায় এই প্রথম কোনো সাদা বাঘের বাচ্চা জন্মেছে।

বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞরা জানান, ‘বেঙ্গল টাইগার’-এর রং সাদায় কালো ডোরা হয় জিনগত সমস্যার জন্যই। জঙ্গলে সাদা বাঘ সাধারণত দেখা যায় না। মূলত সার্কাস, চিড়িয়াখানা বা সংরক্ষণ কেন্দ্রে তাদের দেখা পাওয়া যায়।

নিকারাগুয়ার এই সাদা বাঘটির বয়স এক সপ্তাহ। জন্মানোর সময় তার ওজন ছিল এক কেজিরও কম। মনে করা হচ্ছে, এই বিশেষ জিনটি সে পেয়েছে তার মায়ের থেকে। মায়ের বয়স পাঁচ। তার দাদা ছিল সাদা। মা নিজে এক সময় সার্কাসে খেলা দেখাত। সেখানে তাকে বিদায় দেয়া হলে সে চিড়িয়াখানায় আশ্রয় পায়। সাদা-কালো মেয়েকে সে আর কাছে নেয়নি। খাওয়ানোর মতো দুধও দেয়নি সে। ফলে সাদা বাঘটির আশ্রয় হয় মানুষের কাছে।

এজন্য তুষারের মতো দেখতে সাদা বাঘটি এখন মানুষের কাছে বড় হয়ে উঠছে। সাদা তোয়ালের বিছানায় ঘুমায়। বোতল থেকে দুধ খায়। তিন ঘণ্টা অন্তর ক্ষুধা লাগে তার। বোতল দিতে দেরি হলে কিংবা দুধ বেশি ঠাণ্ডা মনে হলে চিৎকার দেয় সে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.