‘প্যারায়’ দিন কাটছে পূজা চেরির
আঠারো বছর পার হওয়ার আগেই নায়িকা হয়ে রীতিমতো শোবিজে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন। একের পর এক সিনেমায় অভিনয় করে চমকে দিচ্ছেন। বলছি শিশুশিল্পী থেকে রাতারাতি তারকা খ্যাতি পাওয়া পূজা চেরি’র কথা। রুপালি পর্দার তারুণ্যের ঝলকানীতে এগিয়ে চলছেন পূজা।
সম্প্রতি নিজের ফেসবুক প্রোফাইল ছবি পরিবর্তন করেছেন এ অভিনেত্রী। ক্যাপশনে লিখেছেন #হৃদিতা। ২০১৯-২০ অর্থবছরে সাধারণ শাখায় সরকারি অনুদান পেয়েছে ‘হৃদিতা’ সিনেমাটি।
এদিকে দেশিয় গণমাধ্যমকে এই নায়িকা বলেন, খুব পীড়ায় আছি। শুটিং, রিহার্সেল, পরীক্ষা, ভাইয়ের বিয়ে এসব নিয়ে খুব ব্যস্ততার মধ্যে সময় পার হচ্ছে। আর এতেই বুঝা যাচ্ছে নায়িকাও তরুণ প্রজন্ম নিজেদের বিরক্ত প্রকাশের ক্ষেত্রে তাদের জনপ্রিয় শব্দ ‘প্যারা’ ব্যবহার করতে চাইলেও সেটি পারছেন না।
দেশিয় গণমাধ্যমে ‘হৃদিতা’ চরিত্র নিয়ে পূজা চেরি বলেন, আমি আসলে খুঁজে পাচ্ছিলাম না হৃদিতা দেখতে কেমন। আমার কাছে মনে হচ্ছিল হৃদিতা মানে স্নিগ্ধ একটি মেয়ে। পরিচালকও স্নিগ্ধ হৃদিতাকে চেয়েছেন। ভারী কোনো মেকআপ থাকবে না, জাস্ট নরমাল লুক। দেখলে মনে হবে পাশের বাসার একটি মেয়ে। সে হিসেবেই নিজেকে প্রস্তুত করছি।
ফেসবুকে মেরুন রঙের শাড়ি পরিহিত একাধিক ছবি শেয়ার করেছেন অভিনেত্রী। ‘হৃদিতা’ কী সবসময় শাড়ি পড়বে? প্রশ্ন করতে পূজা বলেন, না, না। হৃদিতা সব সময় শাড়ি পরে না। মাঝে মধ্যে হুট করেই পরে।
সিনেমায় হৃদিতার বাবা চরিত্রে অভিনয় করবেন মানস বন্দ্যোপাধ্যায়। আর মায়ের চরিত্রে থাকবেন আঞ্জুমান আরা বকুল। এবিএম সুমন অভিনয় করবেন কবির চরিত্রে। চলতি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে শুটিং শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সেভাবেই এগিয়ে যাচ্ছে টিমের কাজ। এমনটাও জানিয়েছেন পূজা চেরি।