270181

‘সিনোভ্যাককে টাকা দেয়ার সিদ্ধান্ত এখনও নেয়া হয়নি’

করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন ট্রায়ালের জন্য চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানিকে সরকারিভাবে টাকা কো-ফান্ডিং করে কিছু করার সিদ্ধান্ত এখনো নেয়া হয়নি বলে জানা গেছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আব্দুল মান্নান এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, আমাদের সরকারি কোনো টাকা কো-ফান্ডিং করে কিছু করার সিদ্ধান্ত আমরা এখনও নেইনি।

সিনোভ্যাকের ট্রায়ালের সুযোগ আছে মন্তব্য করে আব্দুল মান্নান আরো বলেন, ‘আমরা চিন্তাভাবনা করছি আরো কারো…। আমরা তো আরো নানান জায়গায় দৌড়াদৌড়ি করছি, সেগুলো দেখা যাক। আর উনারাও কিন্তু বলেছেন−বাংলাদেশ থেকে টাকা না পেলেও আমরা একটু দেরি হলেও কাজ (ট্রায়াল) করবো, আমরা পিছিয়ে যাবো না।’

প্রসঙ্গত, গত ২২ সেপ্টেম্বর চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানি তাদের আর্থিক সংকটের কথা জানিয়ে চিঠি দেয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে। সেখানে কোম্পানিটি তাদের ‘অর্থনৈতিক ক্রাইসিস’-এর কথা জানিয়ে করোনা ভ্যাকসিন ট্রায়ালে বাংলাদেশ সরকারকে ‘কো-ফান্ডিং’ করার জন্য অনুরোধ করেছে।

এর কারণ হিসেবে তারা চিঠিতে বলেছে, বাংলাদেশ থেকে অনুমোদন পেতে দেরি হয়েছে তাদের। আর দেরি হওয়া প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, যাচাই-বাছাই করে অনুমোদন দিতে গিয়ে দেরি হয়েছে।

গত ১৯ জুলাই চীনের সিনোভ্যাক কোম্পানির ভ্যাকসিন করোনাভ্যাককে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের জন্য অনুমোদন দেয় বাংলাদেশ মেডিক্যাল রিসার্চ কাউন্সিল (বিএমআরসি)। এরপর সিনোভ্যাককে ট্রায়ালের অনুমতি দেয়া হয়েছে বলে গত ২১ সেপ্টেম্বর জানান স্বাস্থ্য সচিব আব্দুল মান্নান। কোভিড-১৯ বিষয়ক জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটিও একাধিকবার দেশে ভ্যাকসিন ট্রায়ালের কথা বলেছে।

এদিকে গত ২২ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেককে দেয়া চিঠিতে সিনোভ্যাক বলেছে, ‘আমাদের কাছে যে ফান্ড ছিল তা অন্যান্য দেশে ট্রায়ালের জন্য এই মুহূর্তে বিতরণ করা হয়েছে। তাই বাংলাদেশে ট্রায়াল করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ আমাদের হাতে নেই। আমরা এই তহবিল অক্টোবরের শেষে কিংবা নভেম্বরের প্রথম ভাগে কিছুটা সংগ্রহের পরিকল্পনা করছি। যদিও বাংলাদেশে ট্রায়াল পরিচালনার জন্য আমাদের তহবিল গঠনের যৌথ অংশীদার প্রয়োজন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.