270048

কাজু বাদামের ৫০ কোটি টাকার বিশেষ প্রকল্প সরকারের

কিছুদিন আগেও অভিজাত মানুষদের জন্য বিদেশ থেকে আনা নাস্তার উপকরণ হিসেবে ব্যবহার হতো কাজু বাদাম। বর্তমানে দেশের কারখানাতেই প্রক্রিয়াজাত হচ্ছে খাবারটি। আর কাজু বাদামের যোগান বাড়াতে বাগান তৈরির জন্য তিন পার্বত্য জেলায় ৫০ কোটি টাকার বিশেষ প্রকল্প নিয়েছে সরকার।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তরুণ উদ্যোক্তাদের সমন্বয়ে চট্টগ্রামে গড়ে উঠা কাজু বাদামের প্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানায় রয়েছে যোগান স্বল্পতা। তবে বিদ্যমান সমস্যাগুলো কাটাতে পারলে বছরে ৯ হাজার কোটি টাকার কাজু বাদাম রফতানি সম্ভব।

বর্তমানে বিশ্বে ৯০ হাজার কোটি টাকার কাজু বাদামের চাহিদা রয়েছে। দেশের তিন পার্বত্য জেলাতেই সীমিত আকারে চলছে কাজু বাদামের চাষ। এ থেকে উৎপাদন হচ্ছে ২ হাজার মেট্রিক টন।

আর তাই দেশের চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি ২০২৪ সালের মধ্যে বছরে ৯ হাজার কোটি টাকার কাজু বাদাম বিদেশে রফতানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে কাজ করেছে এ খাতের ব্যবসায়ীরা।

এ প্রসঙ্গে গ্রীন গ্রেইন গ্রুপ ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাকিল আহমেদ তানভীর বলেন, ২০২৪ সালের মধ্যে বছরে ৯ হাজার কোটি টাকার প্রসেস কাজু বাদাম এক্সপোর্ট করার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

এ পরিস্থিতিতে তিন পার্বত্য জেলায় কাজু বাদামের চাষ বাড়াতে ৫০ কোটি টাকার একটি প্রকল্প নিয়েছে সরকার। সোমবার এই প্রকল্প মন্ত্রী পরিষদ বৈঠকে অনুমোদন পেতে যাচ্ছে। প্রায় ২ লাখ হেক্টর পাহাড়ি ভূমি কাজু বাদাম চাষের আওতায় আনার ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।

পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয় মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশেশিং বলেন, যারা বাগান করেন, তাদের বিনা পয়সায় সব ধরনের সহযোগিতা করা হবে।

বিশ্বের কাজু বাদামের চাহিদার ৫২ শতাংশ ভিয়েতনাম এবং ২২ শতাংশ ভারত সরবরাহ করে। ২০১৮-১৯ অর্থ বছরে বিদেশ থেকে বাংলাদেশে প্রায় ৫ লাখ মেট্রিক টন কাজু বাদাম আমদানি হয়েছে।

এ খাত সংশ্লিষ্টদের মতে, বাংলাদেশের কাজু বাদাম ভিয়েতনামের থেকেও সুস্বাদু। এক্ষেত্রে স্বাদ এবং গুণগত মান ভালো হওয়ায় জায়গা করে নিতে পারে বাংলাদেশও।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.