ওজন কমাতে সারাবিশ্ব ঝুঁকছে প্যালিও ডায়েটে
ওজন কমাতে কতোকিছুই না করে থাকেন। সবার প্রথমে বাদ দেন খাওয়া দাওয়া। এরপর কঠোর শারীরিক কসরত তো আছেই। এতেও ফল মিলছে না।
তবে এরই মধ্যে কিটো ডায়েট বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। ওজন কমাতে খুবই কার্যকরী এই ডায়েট। লো কার্বহাইড্রেট এবং হাই ফ্যাট এই ডায়েটের মন্ত্র বলতে পারেন। তবে প্যালিও ডায়েটের নাম আপনার কাছে নতুন মনে হলেও এটি প্রাচীন কালের ভারতীয় একটি ডায়েট পদ্ধতি। সেসময়কার মানুষ তো ডায়েটের ব্যাপারে জানত না। তবে তাদের খ্যাদ্যাভ্যাসকেই বলা হয় প্যালিও ডায়েট।
এটি ক্যাভম্যান ডায়েট নামেও পরিচিত। এই ডায়েট মূলত হার্টের চিকিৎসায় কাজে লাগে। আমরা বাঙালিরা সাধারণত তিনবেলা নিয়ম করে খাবার খাই। এরমধ্যে ভাতই বেশি। এতে করে অতিরিক্ত ক্যালোরি শরীরে প্রবেশ করে। ফ্যাট এবং অন্যান্য উপাদানের কারণে শরীরের ওজন বেড়ে যায়। ফলে দেখা দেয় নানা শারীরিক সমস্যা।
প্যালিও ডায়েট কিন্তু কঠিন কোনো ডায়েট না। এটি শুধু খ্যাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন অ্যানবে। যাদের বহু চেষ্টার পরও ওজন কমছে না। তারা এই ডায়েট চার্ট অনুসরন করতে পারেন। জেনে নিন এই ডায়েটে আপনি কী কী খেতে পারবেন না-
মটরশুটি
প্রাচীনকালে মানুষ চাষাবাদ সম্পর্কে তেমন কিছু জানতেন না। ফলে বনজ শিম বা মোটরশুটি খেতেন। সেসময় এগুলো চাষ করতে হত না, এমনিতেই ঝোপ ঝাড়ে পাওয়া যেত। তবে এগুলো তারা শুরুতে নানা অসুবিধার কারণে বাদ দেন। এতে পেটের সমস্যা বাড়তে পারে। মটরশুটি ফাইটিক অ্যাসিড সমৃদ্ধ। যা স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ হতে পারে। কালো মটরশুটি, কিডনি বিন, ডাল, মটর, ছোলা, সয়া সিম, চিনাবাদাম এবং মুং সহ সব ধরণের শিম প্যালিও ডায়েটে একেবারে খাওয়া যাবে না।
শস্যবীজ
শস্যবীজগুলোতে শর্করার পরিমাণ বেশি থাকে। এতে করে শরীরের ওজন বাড়ে খুব দ্রুত। প্যালিও ডায়েটে কোনো ধরণের শস্য খাওয়া যাবে না। বিশেষ করে ভাত, ওটস বা গম জাতীয় খাবার। পাস্তা, কর্ন সিরাপ, বাদামি রুটিও শস্য থেকে নেয়া হয়। তাই এগুলোও খাওয়া যায় না এই ডায়েটে।
প্রক্রিয়াজাত খাবার
সব ধরনের প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। আপনাকে পিজ্জা, বার্গার, হট ডগ, কেক, ওয়েফার, মাফিন, পাস্তা, চিপস, কুকিজ, ক্যান্ডি, জুস সবকিছু হাদ্য তালিকা থেকে বাদ দিন।