রেস্তোরাঁয় বিমানের সেবা!
বিমান চলাচল কয়েকমাস ধরেই বন্ধ। তাই অনেকে বিমানের খাবারগুলোও মিস করছেন। আকাশে না উড়লেও যাত্রীদের কাছে খাবার পৌঁছে দিতে এবার থাই এয়ারওয়েজ নিয়েছে অভিনব উদ্যোগ।
রেস্তোরাঁয় বিমানের সেবা
ইন-ফ্লাইটে সব সুবিধা, কেবিন ক্রু, আসন থেকে শুরু করে অঙ্গবিন্যাস সবটাই থাই এয়ারওয়েজের সিট ও যন্ত্রাংশ ব্যবহার করে তৈরি করেছে এক অভিনব রেস্তোরাঁ। ফলে এর ভিতরে প্রবেশ করলে আপনার মনে হবে বিমানের ভিতরেই বসে আছেন। বৃহস্পতিবার সেখানে শতাধিক মানুষকে খাবার খাওয়ানো হয়েছে।
থাই এয়ারওয়েজ রেস্টুরেন্ট
আন্তর্জাতিক ও বাণিজ্যিক ফ্লাইট বন্ধ থাকায় আপাতত আকাশে উড়ছে না থাই এয়ারওয়েজ। তাই পর্যটকরা যাতে থাই এয়ারওয়েজের ফ্লেভার ভুলে না যান- সে জন্য সাজানো হয়েছে এমন রেস্তোরাঁ।
ফক্স নিউজর একটি প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, ওই রেস্তোরাঁয় খাবার খেতে হলে বিমানের টিকেট থাকার প্রয়োজন নেই। যে কেউ সেখানে খাবার স্বাদ নিতে পারবেন। এই রেস্তোরাঁর খবর অনলাইনে জানতে পারেন পিরাচাট পেংথোংওরাপেচ। তিনি বলেছেন, আমি এই রেস্তোরাঁয় পেটপুরে খেয়েছি। বিমানের ভিতরে বসে খাওয়ার চেয়ে এখানে খাওয়া অনেকটা স্বস্তির। কারণ, আপনার নির্দেশমতো খাবার রান্না করে দেয়া হচ্ছে। করোনার কারণে বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থগিত রয়েছে থাইল্যান্ডে।
খাবার
আপনি চাইলেই এখানে রাতের খাবার খেতে পারেন। সাক্ষাৎ মিলবে কেবিন ক্রুদের সঙ্গে। তারা পুরোপুরি ইউনিফর্ম পরে আপনাকে স্বাগত জানাবে। এই রেস্তোরাঁকে সাজানো হয়েছে বিমানের বিভিন্ন অংশ ও আসন ব্যবহার করে। এতে ভিতরে প্রবেশ করলে আপনার কাছে মনে হবে আপনি প্রকৃতপক্ষেই বিমানের ভিতরে আরোহন করেছেন।
পুরোপুরি ইউনিফর্ম পরে সেবা দিচ্ছেণ কেবিন ক্রুরা
থাই এয়ারওয়েজের ক্যাটারিং ম্যানেজিং ডিরেক্টর ভারাঙ্গকানা লুরোজভং বলেছেন, এ সময়ে আমরা ইঞ্জিনের অতিরিক্ত যন্ত্রাংশ, জানালা এমনকি ফ্যান ব্লেড ব্যবহার করেছি এই রেস্তোরাঁয় আসবাবপত্র হিসেবে। প্রতিটি ডেকোরেশনে একটি কিউআর কোড আছে। এ থেকে দর্শনার্থীরা ওই পার্টসটি কিসের বা তার কি কাজ এ সম্পর্কে জানতে পারবেন।
সাজানো হয়েছে বিমানের বিভিন্ন পার্টস দিয়েই
এখানে নৈশভোজ করেছেন কান্তা আকানিতপ্রাচাই। তিনি বলেছেন, বিমানের টিকেট না থাকলেও এখানে বিমানের ভিতরের খাবার পরিবেশন বিমানের আঙ্গিকে একটি চমৎকার আইডিয়া। আমি থাই এয়ারওয়েজের ইন-ফ্লাইটের খাবারটা পছন্দ করি। কিন্তু সেই খাবার তো শুধু বিমানে আরোহন করলে তবেই দেয়া হয়। কিন্তু আজ বিমানে না চড়েই, আমি সেই খাবার এখানে খেলাম। খুব মজার বিষয়টা।
ভ্রমণ না করেও মিলছে বিমানের স্বাদ
ভারাঙ্গকানা বলেছেন, এই রেস্তোরাঁ থেকে প্রতিদিন প্রায় ২০০০ মানুষকে খাবার দেয়া হয়। করোনা ভাইরাস সংক্রমণের জন্য যে রাজস্ব হারিয়েছে কর্তৃপক্ষ, এর মধ্য দিয়ে তার কিছুটা পূরণ করার চেষ্টা করা হচ্ছে। থাই এয়ারওয়েজের অন্য অফিসগুলোতে একই রকম আইডিয়া প্রয়োগ করার পরিকল্পনা আছে।
হাস্যজ্জ্বল কেবিন ক্রু
বিমান সংস্থাটির শেফ এবং কেবিন ক্রুরাও রয়েছেন চমৎকার মেজাজে।
ব্যস্ত রয়েছেন শেফরাও
জাপানি শেফ জুন উনিশি বলেছেন, এখানে অভিজ্ঞতাটা ভিন্ন। কারণ, তিনি বিমানে যেসব কাস্টমারকে খাবার সরবরাহ করেন, প্রথমবারের মতো সরাসরি তাদের সঙ্গে তার কথা হচ্ছে।
