268340

১০ জিলহজ হজ পালনকারীদের আমল

৯ জিলহজ আরাফার ময়দানে অবস্থানের মাঝ দিয়ে হজের সবচেয়ে প্রধান ফরজ আদায় করেছেন হজ পালনকারীরা। রাতেই রওনা দিয়েছেন মুজদালিফার দিকে। হাজিদের জন্য আরাফার ময়দান থেকে মুজদালিফায় গিয়ে রাতে অবস্থান করা সুন্নত। আর ১০ জিলহজ ফজরের নামাজের পর থেকে সূর্য ওঠার আগ পর্যন্ত সময়ের মধ্যে কিছু সময় মুজদালিফায় অবস্থান করা ওয়াজিব।

মুজদালিফা সৌদি আরবের মক্কা নগরীর নিকটবর্তী একটি সমতল এলাকা। এই স্থান হজের সঙ্গে সম্পর্কিত। মিনা ও আরাফাতের পথে মিনার দক্ষিণ পূর্বে এর অবস্থান। মুজদালিফায় রাত্রি যাপনের পর সূর্য ওঠার আগেই মুজদালিফা থেকে মিনার (১০ জিলহজ) উদ্দেশে কংকর নিক্ষেপে রওয়ানা হতে হবে। মুজদালিফা থেকে যাওয়ার পথে প্রত্যেক হাজি ছোট ছোট পাথর সংগ্রহ করতে হবে।

১০ জিলহজ:

১০ জিলহজ মিনায় পৌঁছে কংকর নিক্ষেপের কাজ সম্পাদন করা হবে। প্রথম দিন শুধুমাত্র বড় জামারাতে কংকর নিক্ষেপ করতে হবে। তিন ধাপে মিনায় মসজিদে খায়েফের সন্নিকটে অবস্থতি জামরায়ে উলা তথা বড় জামরায় কংকর মারা শুরু করবে। অতঃপর ৭টি কংকর একের পর এক নিক্ষেপ করতে হবে।

বড় জামরাতে কংকর নিক্ষেপের পর ক্বিরান ও তামাত্তু হজ আদায়কারীরা কোরবানি করবে। (ওয়াজিব) অতঃপর হাজিরা মাথা মুণ্ডন করবে। মাথা মুণ্ডনের ফলে হাজিরা (স্ত্রীর সহবাস ছাড়া সবকিছু) হালাল হয়ে যাবেন।

অতঃপর তাওয়াফে ইযাফা বা তাওয়াফে যিয়ারাত আদায় করতে মক্কায় কাবা শরিফে যেতে হবে। এ তাওয়াফ ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের আগ পর্যন্ত করা যাবে। যারা এ তাওয়াফ আদায় করবে তারা পরিপূর্ণ হালাল হয়ে যাবে এবং সব কাজ করতে পারবে।
অতঃপর যারা আগে সাঈ করে নাই, তারা তাওয়াফে জিয়ারাতের পরপরই সাঈ আদায় করে নেবে।

যেভাবে কংকর নিক্ষেপ করতে হবে:

প্রথম জামরা-
কংকর মারার পর কিছুটা পেছনে সরে আসবে এবং জামরাকে (কংকর মারার স্থান) বাম দিকে রেখে ক্বিবলামুখী হয়ে দুই হাত উত্তোলন করে করুণ আবেদন-নিবদনের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করতে থাকা।

দ্বিতীয় জামরা-
কংকর মারার পর কিছুটা সম্মুখের দিকে সরে যাবে এবং জামরাকে (কংকর মারার স্থান) ডান দিকে এবং কিবলাকে সম্মুখে রেখে দুই হাত উত্তোলন করে করুণ আবেদন-নিবদনের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালার নিকট দোয়া করতে থাকা।

তৃতীয় জামরা-
তৃতীয় জামরায় কংকর নিক্ষেপ করবে কিন্তু সেখানে দাঁড়ানো যাবে না এবং দোয়া না করে শুধু কংকর নিক্ষেপ করে চলে আসা।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.