ক্যান্সার জয়ী এই বলিউড সুন্দরী দ্বিতীয় জীবন যেভাবে উপভোগ করছেন
আরো অনেক দূর যেতে হবে, এই বাসনা নিয়েই পথ চলছেন বলিউড সুন্দরী মনীষা কৈরালা। মারণঘাতী রোগ বাসা বেঁধেছিল তার শরীরে তবুও ভেঙে পড়েননি তিনি। মারণরোগ ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে জয়ী হয়েছেন, এখনো অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে তাকে।
এই বলিউড সুন্দরী নিজেই দাবি করে, ক্যান্সার তার জীবনে অভিশাপ নয় বরং আশির্বাদ হয়ে এসেছিল। এ কারণেই তো তিনি দ্বিতীয়বার বাঁচার সুযোগ পেলেন। এখন তিনি দিব্যি ফিট আছেন। সুযোগ পেলেই বনে বাদারে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। কারণ জঙ্গল যে তার খুবই প্রিয় জায়গা।
তারই রেশ ধরে এবারও জঙ্গলে ঘুরতে গিয়েছেন অভিনেত্রী। বরাবরই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজেকে সরব রাখেন এই অভিনেত্রী। এবারও নিজের ট্রাভেল ডায়েরির নানা মুহূর্ত শেয়ার করেছেন ইনস্টাগ্রামে। জঙ্গলে থাকাকালীন বিভিন্ন ছবি ও ভিডিও শেয়ার করে মনীষা লিখেছেন, পুনরায় শক্তি সঞ্চয় করছি। সেই সঙ্গে লিখেছেন রবার্ট ফ্রস্টের বিখ্যাত কবিতার দু’লাইন- ‘মাইলস টু গো বিফোর আই স্কিপ’নেপালের রাজপরিবারের মেয়ে মনীষা। বলিউডে ডেবিউয়ের পর কেবল সৌন্দর্য নয় অভিনয় দক্ষতাতেও দর্শকের মন মাতিয়েছেন। তার শারীরিক গড়ন, সুন্দর হাসিতে মজেছিল দর্শকরা। রোমান্টিক ঘরানার নায়িকাদের সারিতে নিজেও জায়গা দখল করে নেন তিনি। তবে নায়িকার পাশাপাশি এখন বিশ্বের মানুষ মনীষাকে ক্যান্সার লড়াকু বলেও চেনেন।
দীর্ঘ সময়ের চিকিৎসার পর এখন মনীষা জরায়ুর ক্যান্সার মুক্ত। জীবনের এক কঠিন লড়াইয়ে জিতেছেন তিনি। ক্যান্সারের সঙ্গে যুদ্ধ জয়ের পর থেকে নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই রোগ থেকে সেরে ওঠার জন্য অন্যদেরকে সাহস জুগিয়েছেন নায়িকা। আর সুযোগ পেলেই শেয়ার করেন নিজের ট্রাভেল হিস্ট্রি।বর্তমানে নিজের দ্বিতীয় জীবন নিয়ে বেশ ভালোই আছেন নেপালের এই সুন্দরী। ক্যান্সারমুক্ত হয়ে এখন ফিরেছেন শুটিং ফ্লোরে। সিনেমা থেকে ওয়েব সিরিজেও চুটিয়ে কাজ করছেন তিনি। শুধু তাই নয়, এখন তো মনীষা অন্য ক্যান্সার ভিকটিমদের মনে সাহস জুগাচ্ছেন, বেঁচে থাকার জন্য প্রাণপণে লড়ার পরামর্শ দিচ্ছেন সবাইকে।
মনীষা কৈরালা নেপালি রাজনীতিতে সুপরিচিত কৈরালা পরিবারের সন্তান। তিনি প্রকাশ কৈরালা ও সুষমা কৈরালার কন্যা। নেপালের ২২তম প্রধানমন্ত্রী বিশ্বেশ্বর প্রসাদ কৈরালার নাতনি হলেন মনীষা। কর্মজীবনে মনীষা এ যাবৎকালে তিনটি ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার, একটি ফিল্মফেয়ার পুরষ্কার দক্ষিণ ও একটি স্ক্রিন পুরষ্কারসহ একাধিক সম্মাননা অর্জন করেছেন। ২০০১ সালে নেপাল রাজ্য তাকে নেপালের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা অর্ডার অব গোর্খা দক্ষিণ বাহুয় ভূষিত করে।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি কৈরালা মঞ্চ পরিবেশনার সঙ্গে জড়িত। নিজের জীবনের গল্প ও তার জরায়ুর ক্যান্সার নিয়ে রচিত উপন্যাস হিলড রচনাও করেছেনে তিনি। মনীষা ১৯৯৯ সালে ইউএনপিএফের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিয়োগ পান। ২০১৫ সালের এপ্রিলে নেপালের ভূমিকম্প পরবর্তী সময়ে ত্রাণকার্যের সঙ্গে জড়িত ছিলেন মনীষা। তিনি নারীর অধিকার, নারীর প্রতি সহিংসতা দমন, মানব পাচার ও ক্যান্সার বিষয়ক সচেতনতায় কাজ করে যাচ্ছেন।