পৃথিবীর বাইরের পাঁচ রহস্য
পৃথিবীর বাইরের দুনিয়া কেমন? আমার কাছে অবশ্যই জটিল। কারণ মহাকাশ সম্পর্কে আমরা অনেক কিছুই জানি না। তবে বিজ্ঞানের কল্যাণে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন তথ্য বেরিয়ে আসছে। এর মধ্যে কিছু বিষয় অদ্ভুত আর রহস্যে ঘেরা। তেমন পাঁচটি তথ্য তুলে ধরা হয়েছে, যা জানলে আপনিও অবাক হতে পারেন—
চাঁদেরও চাঁদ আছে
চাঁদেরও চাঁদ আছে—বিষয়টা শুনে নিশ্চয়ই অবাক হয়েছেন। ইন্টারনেটে একে বলা হয় ‘মুনমুন’, বাংলায় যা ‘চাঁদ চাঁদ’। যদিও এটি একটি তাত্ত্বিক বিষয়, তবে সম্প্রতি বিভিন্ন গণনায় দেখা গেছে বিষয়টি অবাস্তব কিছু না। হয়ত ভবিষ্যতে তা আবিস্কার হতেও পারে।
ফার্স্ট রেডিও ব্রাস্ট
বিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে থেকে ভেসে আসছে এক রহস্যজনক সিগন্যাল। ২০০৭ সাল থেকে বিজ্ঞানীরা একটি রহস্যময় আল্ট্রাস্ট্রং এবং আল্ট্রাব্রাইট সিগন্যাল শুনে আসছে। সংকেতটিকে বিজ্ঞানীরা সম্বোধন করেন ‘ফার্স্ট রেডিও ব্রাস্ট’ বা এফআরবি নামে। এটি এমন সংকেত যা সেকেন্ডেরও কম সময়ের জন্য পাওয়া যায়। এর রহস্য সমাধানের কাজ করছেন বিজ্ঞানীরা।
স্পেস থেকে অবলোহিত রশ্মির প্রবাহ
একটি সাধারণ তারার মৃত্যুর পর নিউট্রনের তারাগুলো বেশ ঘন হয়ে যায়। তারা রেডিও প্রবাহ, এক্স রে’র মতো বিভিন্ন প্রবাহ ছুঁড়তে থাকে। ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে এরকম একটি তারা থেকে অবলোহিত রশ্মি আসতে থাকে। যা আগে দেখা যায়নি। বিষয়টি বেশ রহস্যে ঘেরা।
হাউমির রিং
হাউমি নেপচুনের বাইরের কুপার বেল্টে প্রদক্ষিণ করে। যা বেশ অস্বাভাবিক। এর আবার দুটি চাঁদ আছে। এর দিনের সময় ৪ ঘণ্টা। এটি এই সোলার সিস্টেমের সবচেয়ে দ্রুতগতির বস্তু। কিন্তু ২০১৭ সালে কিছু নভোচারী খেয়াল করেন হাউমির চারপাশ ঘিরে খুব সূক্ষ্ম একটি রিঙের মত বলয়। খুব সম্ভবত অনেক আগের কোন সংঘর্ষের ফলে তৈরি এটি।
হাই ইলেকট্রিক হাইপারিয়ন
শনির হাইপারিয়ন কিন্তু বেশ অদ্ভুত দেখতে। একে আবার অদ্ভুত চাঁদও বলা হয়। নাসার যে মহাকাশযান ২০০৪ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত শনিকে পর্যবেক্ষণ করেছে, তা দেখিয়েছে এই হাইপারিয়নের মহাকাশের স্থির বিদ্যুৎ এর বীমের কণা দিয়ে চার্জযুক্ত।