267003

জুলাইয়ে কয়েক লাখ ডোজ করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন করবে সেরাম ইনস্টিটিউট

জুলাই মাসেই অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের তৈরি করোনা ভ্যাকসিনের ২০ থেকে ৩০ লাখ ডোজ উৎপাদন করতে সক্ষম হবে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট।

গত এপ্রিল মাসে শুরু হওয়া ‘সিএইচএডিওএক্স১ এনসিওভি-১৯’ নামে পরিচিত অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের প্রথম পর্যায়ের চিকিৎসাগত প্রয়োগ শেষ হয়েছে। দ্বিতীয় পর্যায়ের পরীক্ষামূলক প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের পক্ষ থেকে গত ২২ তারিখ জানানো হয়েছে, জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহেই সম্ভাব্য প্রথম পর্যায়ের ফলাফল প্রকাশিত হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি’র প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, পুণের সেরাম ইনস্টিটিউটের একজন কর্মকর্তা বলেন, প্রথম পর্যায়ের ফল আশানুরূপ হলে প্রথমে আমরা ২০-৩০ লাখ ডোজ উৎপাদন করব। পরে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের প্রক্রিয়া শেষ হলে, তখন বেশি পরিমাণে ভ্যাকসিন উৎপাদন করা হবে।

তিনি আরো জানান, প্রথম পর্যায়ের ফল ভালো হলে, দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের কাজ একসঙ্গে চলবে। তার আশা, আগামী দুই থেকে তিন মাসের মধ্যেই দ্বিতীয় ও তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শেষ হবে। এখন ব্রিটেনে করোনা সংক্রমণ কমে যাওয়ায় ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চলছে ব্রাজিল ও দক্ষিণ আফ্রিকায়। তবে ভাইরাস মোকাবিলায় ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ যে কার্যকর হবে সেই বিষয়ে নিশ্চিত অক্সফোর্ড ভ্যাকসিন গ্রুপ।

ভ্যাকসিনটি বাঁদরের ওপর পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, ভ্যাকসিনের একটি ডোজ নিউমোনিয়া আটকে দিলেও, সংক্রমণ রুখতে পারেনি। যদিও, তাতে আশাহত নন গবেষকরা। এ বিষয়ে সেরাম ইনস্টিটিউটের ওই কর্মকর্তা জানান, বাঁদরগুলোর ওপর অত্যাধিক মাত্রায় ভাইরাসের ডোজ দেয়া হয়। সেখানে ভ্যাকসিনের একটিমাত্র ডোজ ব্যবহার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত ৩০ এপ্রিল অক্সফোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, করোনা অতিমারীর সময়, এই ভ্যাকসিনটিকে অলাভজনক ভাবে বাজারে ছাড়া হবে।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.