265776

সাগরকন্যার এই রূপ আগে দেখেনি কেউ

কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকত। ‘সাগর কন্যা’ হিসেবে পরিচিত দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের এ পর্যটনকেন্দ্র প্রতি ঈদে মুখর থাকে হাজারো পর্যটকের পদচারণায়। কিন্তু এবারের ঈদে কুয়াকাটা ধারণ করেছে এক ভিন্ন রূপ। যা এর আগে কেউ দেখেনি।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সারাদেশে নিষিদ্ধ করা হয়েছে জনসমাগম। এর প্রভাব পড়েছে কুয়াকাটা সমুস্র সৈকতেও। সৈকতে নেই পর্যটকদের আনাগোনা, চারপাশে বিরাজ করছে অখণ্ড নিস্তব্ধতা। চিরচেনা কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতের এ রূপ যেন স্থানীয়দের কাছেই অচেনা।

১৯ মার্চ থেকে লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে ১৮ কিলোমিটার দীর্ঘ কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতকে। এরপর থেকেই বন্ধ রয়েছে চার শতাধিক হোটেল-মোটেল।

জেলা প্রশাসন ও ট্যুরিস্ট পুলিশের তথ্য অনুযায়ী, সরকারি নির্দেশে জনসমাগম নিষিদ্ধ থাকায় এবার ঈদে কুয়াকাটায় আসেনি কোনো পর্যটক। অতিথিশূন্য পড়ে আছে সাগরপাড়ের হোটেল-মোটেলও। কর্মহীন হয়ে পড়েছে হাজারো মানুষ।

কুয়াকাটার হোটেল মালিকরা জানান, ঋণ নিয়ে হোটেল ব্যবসা শুরু করেছেন। পর্যটক না থাকায় ঋণের বোঝা বেড়ে যাচ্ছে। এ অবস্থা থেকে শিগগিরই মুক্তি পেতে চান তারা।

সমুদ্র সৈকতে জনসমাগম ঠেকাতে ও সরকারি নির্দেশনা বজায় রাখতে নানা পদক্ষেপ নিয়েছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

কুয়াকাটা ট্যুরিস্ট পুলিশের এডিশনাল এসপি মো. জহিরুল ইসলাম জানান, নিষেধাজ্ঞা থাকলেও মাঝেমধ্যে স্থানীয় কিছু মানুষ সৈকতে ভিড় করছে। তাদের ঠেকাতে অভিযান চালানো হচ্ছে। এছাড়া প্রতিদিনই সচেতনতামূলক কার্যক্রম হাতে নেয়া হচ্ছে।

সূত্র: ডেইলি বাংলাদেশ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.