265737

নোবেলকে ধুয়ে দিলেন সুইজারল্যান্ড প্রবাসী

আজকে ঘুমের থিকা উঠার পর থিকাই সব আউলাঝাউলা লাইগা গেছে। পোস্ট দিই পোস্ট মুছি। প্রথমবার পোস্ট দিলাম ডাঙ্গা থুইয়া পানিতে নামাজ পড়া নিয়া, সেইখানে পাবলিক আইসা কইলো, এইটা কয়রার বেড়িবাধ ভাঙার পর সেখানকার মানুষের ঈদ জামাত, মনটা খারাপ হইলো। পোস্ট ডিলিট করলাম, আরেকটা পোস্ট লিখলাম স্যরি বইলা, প্রতিবাদরে অভিনন্দন জানায়া। সেইখানে আইসা লোকে কইলো, এইটার পিছনে জামাতে ইসলামী, ওগো বাসন্তী নাটক। দিলাম সেই পোস্টটাও ডিলিট কইরা।

এরপর আইলো নোবেল। গত কয়দিন ধইরা সে যে আবলামী করছে গানের প্রমোশনের নামে, সেই জন্য র‌্যাব ডাইকা তারে ধাতানি দিছে, সেও অনলাইনে আইসা সানাই স্টাইলে স্যরি কইছে। কাহিনী এইখানেই খতম দিলে ভালো হইতো, কারণ ওর মতো একটা স্টুপিডরে নিয়া কোনো পোস্ট লেখার মানে নাই। কিন্তু ঘটনা যা জানি তাতে বুঝলাম, ও আসলে অল্পতেই পার পাইয়া গেলো। বুকপিঠ নাই একটা পোলা, যার একমাত্র সম্বল বাংলা ব্যান্ডের দিকপালগো গানের কাভার গাওয়া, যারে জি বাংলা রাখছিলই খালি এই বাংলার থিকা টিআরপি বাড়াইতে, তারে নিয়া দুই লাইন লেখা মানে সময় নষ্ট।

কিন্তু জি বাংলা আসলে যে ক্ষতিটা করছে, তা তারা নিজেরাও জানে না। জানে না বাংলাদেশের অসংখ্য মানুষ, যারা আসলে দেশরে ভালোবাইসাই নোবেলরে ভোট দিয়া গেছে। এইটারে সে নিজের যোগ্যতা ভাইবা এমন পর্যায়ে গেছে যে, নিজের মা-বোনরেও সে পুছে না। দুই সপ্তাহ আগে সে নিজের মা-বোনরে রাত একটার সময় ঘর থেকে বের করে দিছে রাস্তায়। পরে পুলিশ আইসা সামাল দিছে।

এইটা তো তার নিজের মা বোন, কিন্তু যে মেয়েটা তার জন্য ঘর ছাড়লো, তার কী অবস্থা? জি বাংলার সেলিব্রেটির প্রেমে সে পরিবারের কাছে ত্যাজ্য হইয়া আসলো। তারে নিয়ম কইরা তিন বেলা পিটায় আমাদের সুপারস্টার সিঙ্গার। একদম মানুষ যেমন তিন বেলা খাবার খায়, আমাগো গায়ক তিন বেলা তার বউ পিটায় তার ত্যাগের সম্মাণে। তো এই হইলো অবস্থা। এরে নিয়া লেখার জন্যও আমি দুঃখিত। আসলে মেয়েটার জন্য মায়া লাগলো।’

লেখক: অমি রহমান পিয়াল, সুইজারল্যান্ড প্রবাসী বাংলাদেশি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.