265397

ধেয়ে আসছে ‘আম্ফান’, গতি কমলেও পাল্টায়নি চরিত্র

ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের তাণ্ডবের আশঙ্কায় রয়েছে বাংলাদেশ ও পশ্চিম বাংলা। বুধবার দুপুরের পর থেকে যেকোনো সময় ঘূর্ণিঝড়টি দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ অথবা ক্যানিং এর স্থলভাগে আছড়ে পড়বে। সে সময় এর গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬৫-১৭৫ কিলোমিটার থাকতে পারে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গেছে, এর আগে ‘আম্ফান’ দীঘার সমুদ্র পাড়ে আছড়ে পড়তে পারে। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে ‘আম্ফান’ তার গতিপথ পাল্টেছে এবং তার ফলে কিছুটা গতিক্ষয় হয়েছে। তবে চরিত্র মোটেও পাল্টায়নি।

এদিকে ঘূর্ণিঝড়ের তাণ্ডবে দুই বাংলার সুন্দরবনের একাংশ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর। তবে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে ক্ষতির সম্ভাবনাই বেশি।

আবহাওয়া দফতর আরো জানায়, তিনটি স্তরে ‘আম্ফান’ স্থল ভাগে প্রবেশ করবে। মাথা, চোখ ও লেজ। ফলে স্থলভাগে দুইবার আচমকা ঝড় দেখা যেতে পারে। অর্থাৎ বিকেলে যখন ঝড়ের মাথা প্রবেশ করবে তখন একবার। এরপর ঝড়ের দাপট কমে গিয়ে স্বাভাবিক বৃষ্টি শুরু হবে।

এরপর ঝড়ের শেষ ভাগ অর্থাৎ লেজ যখন রাতের দিকে স্থলভাগে আছড়ে পড়বে তখন তার দাপট আবার দেখা যাবে। যে সময় লেজ পশ্চিমবঙ্গে থাকবে আর মাথা থাকবে বাংলাদেশে। ফলে স্বাভাবিকভাবে দুই বাংলা ক্ষতির মুখে পড়বে।

আবহাওয়াবিদদের ধারণা, পশ্চিমবাংলার নিরিখে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হবে তিন জেলা। ২৪ পরগনা ও পূর্ব মেদিনীপুর ছাড়াও কলকাতাতেও ঝড় বয়ে যাবে। কলকাতায় ১১০ থেকে ১২০ কিলোমিটার বেগে বইতে পারে ঝড়। ফলে ‘আম্ফান’ কলকাতায়ও তাণ্ডবলীলা চালাতে পারে।

এদিক কলকাতার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় বুধবার দুপুর ১২টার পর ঘর থেকে বের না হওয়ার জন্য সবাইকে আবেদন জানিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এরইমধ্যে প্রায় ৪ লাখ মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরানো হয়েছে। পাশাপাশি দুর্যোগ মোকাবিলাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে।

 

পাঠকের মতামত

Comments are closed.