বিমান ভ্রমণে সামাজিক দূরত্ব কীভাবে নিশ্চিত হবে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এই ভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে বিমান ভ্রমণের ক্ষেত্রেও কি তা মেনে চলা জরুরি। এ নিয়ে এয়ারলাইনসগুলোর মধ্যে চলছে তর্কবিতর্ক।
লকডাউন উঠলেও বিমানে ভ্রমণের ওপর নানা ধরনের বিধিনিষেধ ও শর্তারোপ করা হতে পারে।
ইতোমধ্যে ব্রিটেনের সরকার জানিয়েছে, মে মাসের শেষ দিক থেকে বিমানে করে দেশটিতে কেউ গেলে তাকে ১৫ দিনের জন্য কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে।
ব্রিটেন সরকারের এই কথার পরিপ্রেক্ষিতে ব্রিটেনভিত্তিক এয়ারলাইনসগুলোর সমিতি এয়ারলাইনস ইউকে বলেছে– এসব নিয়ম মানলে বিমানের ব্যবসা লাটে উঠবে।
তারা জানায়, ১৫ দিনের কোয়ারেন্টিনে থাকতে হলে ব্রিটেনে কেউ আসবে না।
লন্ডনের হিথ্রোসহ ইউরোপের বিভিন্ন এয়ারপোর্টে ইতিমধ্যে নানা ধরনের স্বাস্থ্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
সেখানেস বিমান যাত্রী ও স্টাফদের শরীরের তাপমাত্রা মাপা ও ফেসমাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।
সম্প্রতি এয়ার ফ্রান্স সীমিত পরিসরে তাদের ফ্লাইট চালু করেছে। তারা জানিয়েছে, প্রত্যেক যাত্রীর জন্য ফেসমাস্ক ও গ্লাভস ব্যবহার বাধ্যমূলক করা হচ্ছে।
মার্চের শেষ থেকে চালু হয়েছে ইজি জেটের বিমান। তারা বলছে, সামজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে দুই যাত্রীর মাঝে একটি সিট খালি রাখা হয়েছে।
তবে এখন প্রশ্ন হলো– বিমানের ভেতরে কীভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখবে।
বিষয়টি নিয়ে এভিয়েশন খাতে বড় ধরনের তর্কবিতর্ক শুরু হয়েছে।
এমিরেটস, ইউরোপের ইজি জেট বা আমেরিকার ডেল্টা এয়ারলাইনস বলছে, তারা কিছু দিনের জন্য দুজন যাত্রীর মাঝে একটি সিট খালি রাখতে চায়। এ ছাড়া আয়ারল্যান্ডের বিমান সংস্থা এয়ার লিঙ্গাসও তাদের সঙ্গে একমত পোষণ করেছে।
তারা বলছে, সরকারগুলোরও উচিত কিছু দিনের জন্য এ ব্যবস্থা বাধ্যতামূলক করা।
তবে সব এয়ারলাইনস তা মানতে রাজি নয়।
ইউরোপে স্বল্প ভাড়ার যাত্রী বিমান খাতের অন্যতম জায়ান্ট রায়ান এয়ার জানিয়েছে, সিট খালি রাখার শর্ত চাপানো হলে তারা বিমান চালাবে না।
রায়ান এয়ারের প্রধান নির্বাহী মাইকেল ও লিয়েরি বলেছেন, এ ধরনের শর্ত হবে চরম বোকামি।
তার যুক্তি হচ্ছে¬– মাঝের সিট খালি রাখলেই সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত হবে না। এমনটি করলে যাত্রী বিমান ব্যবসা অচল হয়ে পড়বে।
তিনি বলেন, সিট খালি রাখার শর্ত চাপানো হলে তারা বিমান চালাবেনই না।
তবে এক সিট খালি রেখে যাত্রী বসানোর বিষয় নিয়ে সরকারগুলোর পক্ষ থেকে এখনও স্পষ্ট করে কিছু শোনা যায়নি।
মহামারী করোনাভাইরাসের কারণে মার্চ থেকে বিশ্বব্যাপী চলছে লকডাউন। ফলে অর্থনীতির এসব খাত সবচেয়ে বেশি হুমকিতে পড়েছে।
তথ্যসূত্র: বিবিসি বাংলা