265138

কটন বাড ব্যবহারে হারাতে পারেন শ্রবণ ক্ষমতা

কান চুলকালে কটন বাড ব্যবহার করেন অনেকেই। বেশিরভাগ মানুষের এটি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। তবে খুব সাধারণ এই বিষয়টি অনেক বড় ক্ষতি ডেকে আনতে পারে। আদতে নরম হলেও কটন বাড কানের পক্ষে খুবই খারাপ। ক্রমাগত কটন বাড ব্যবহার করলে শ্রবণ ক্ষমতা হারিয়ে যেতে পারে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, কটন বাড কানের গহ্বরের মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। অনেক সময় রক্ত পড়তে পারে। কানের মধ্যে অনেক সূক্ষ্ম শিরা ও নরম অস্থি থাকে। কটন বাডের আঘাতে সেগুলোও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। ফলে শ্রবণ ক্ষমতাও হারিয়ে ফেলতে পারেন কেউ কেউ।

যারা নিয়মিত কটন বাড ব্যবহার করেন তারা বুঝতে পারেন না, এই বাডের তুলো অনেক সময় কানের ভিতরে থেকে যায়। সেই তুলো জমে কানের গহ্বর আটকে দিতে পারে। ফলে বাইরের আওয়াজ কম যায় ভিতরে। আওয়াজ শুনতে সমস্যা হয়।

একটি সমীক্ষা জানিয়েছে, প্রতি বছর বিশ্ব জুড়ে প্রায় সাত হাজার মানুষ কটন বাড ব্যবহারের ফলে অসুস্থ হন। অনেকে আবার এর খারাপ দিক জানার পরেও এই অভ্যাস ছাড়তে পারেন না। ফলে দিনের পর দিন এই অসুস্থ হওয়ার সংখ্যাটা বাড়ছে।

মানুষের কানের ভিতরে আঠালো পদার্থ তৈরি হয়। এই পদার্থ বের করার জন্যই সাধারণত কটন বাড ব্যবহার করা হয়। কিন্তু এই আঠালো পদার্থ কানের পক্ষে উপকারী। বাইরের ধুলো, ময়লা, আঘাত থেকে তা কানকে রক্ষা করে। আর যদি এই পদার্থের পরিমাণ বেশি হয় তাহলে আপনা আপনি তা গোসল করার সময় জলের মাধ্যমে বাইরে বেরিয়ে আসে। অনেক সময় পাশ ফিরে ঘুমের মধ্যেও তা বেরিয়ে আসে।

চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, যদি কানের মধ্যে কোনো সমস্যা হয়, যেমন চুলকায় বা শুনতে সমস্যা হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া উচিত। এক্ষেত্রে ডাক্তার আপনাকে কানের ড্রপ দিতে পারেন। কিন্তু নিজে থেকে কটন বাড দিয়ে খোঁচাতে যাবেন না। কারণ সেটা হিতে বিপরীত হতে পারে।

সূত্র: ঢাকা টাইমস

পাঠকের মতামত

Comments are closed.