264879

ঋষি কাপুরের অসমাপ্ত ছবির জন্য অত্যাধুনিক ভিএফএক্স

প্রযোজক হানি ত্রেহান আশ্বাস দিয়েছেন, ‘ঋষি কাপুরের পরিবার, ভক্ত ও বন্ধুদের জন্য ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে নিয়ে যেতে চাই আমরা। আমরা সবাই তার কাছে ঋণী। রূপালি পর্দার একজন কিংবদন্তি ছিলেন তিনি। ছবিটিতে অর্থলগ্নির পাশাপাশি মানসিকভাবে সম্পৃক্ত থাকায় রিতেশ (প্রযোজক রিতেশ সিধওয়ানি) ও ফারহানের (অভিনেতা-নির্মাতা ফারহান আখতার) কাছে আমি কৃতজ্ঞ।’

গত ডিসেম্বরে ছবিটির কাজ শুরু হয়। এ বছরের জানুয়ারিতে দিল্লিতে বেশিরভাগ দৃশ্যের চিত্রায়ন হয়ে গেছে। আর মাত্র চারদিনের শুটিং বাকি। মার্চে কাজটি হওয়ার কথা থাকলেও সারাভারতে আরোপিত অবরোধের (লকডাউন) কারণে বন্ধ রয়েছে। এর মধ্যে না ফেরার দেশে চলে গেছেন ঋষি কাপুর।

ভারতীয় দৈনিক মিড-ডে’কে প্রযোজক হানি ত্রেহান জানান, ছবির প্রধান অভিনেতাকে ছাড়াই কাজ সম্পন্ন করার চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হবেন পরিচালক হিতেশ ভাটিয়া ও তার কলাকুশলীরা। তিনি বলেন, ‘আমরা ভিএফএক্সসহ অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করবো। এছাড়া প্রয়োগ করা হবে কিছু বিশেষ কৌশল। এসবের সংমিশ্রণে কাজটি সম্পন্ন হবে। তবে মানের ব্যাপারে কোনও আপস করবো না। কয়েকটি ভিএফএক্স স্টুডিওর সঙ্গে আমাদের আলোচনা চলছে।’

দিল্লিতে যখন ছবিটির দৃশ্যধারণ শুরু হওয়ার কথা, তার কয়েকদিন আগে ঋষি কাপুরের বোন ঋতু নন্দা মারা যান। এ কারণে তাকে পাঠানো শোকবার্তায় নতুন সময়সূচি ঠিক করার কথা জানান প্রযোজক হানি ত্রেহান। তবে পারিবারিক শোক কাটিয়ে কাজে ফিরতে মরিয়া ছিলেন ঋষি। তাই প্রযোজককে ফোন করে বলেন, ‘কাল কলটাইম কখন?’

বোন পরলোকগমন করায় ঋষিকে কয়েকদিনের বিরতি দেওয়ার ইচ্ছে ছিল প্রযোজকের। এ কথা শুনে তিনি উল্টো বলেছিলেন, ‘আজেবাজে কথা বলবে না। ব্যক্তিজীবনে যা-ই ঘটুক কাজটা আমার পেশা। আমি উভয় দিকেই দায়িত্ববান থাকি। শুটিং চলবে।’

ফারহান আখতার ও রিতেশ সিধওয়ানির এক্সেল এন্টারটেইনমেন্ট এবং হানি ত্রেহান ও অভিষেক চৌবে ছবিটির প্রযোজক। ‘শর্মাজি নামকিন’-এর বিষয়বস্তু ষাটের কোঠা স্পর্শ করা একজন ব্যক্তিকে ঘিরে, যিনি অবসরগ্রহণের পর জীবনের আনন্দ খুঁজে পান। এতে ঋষি কাপুরের সঙ্গে অভিনয় করেছেন জুহি চাওলা। তারা এর আগে ‘বোল রাধা বোল’ (১৯৯২), ‘ইনা মিনা ডিকা’ (১৯৯৪), ‘ঘর কি ইজ্জত’ (১৯৯৪), ‘সাজন কা ঘর’ (১৯৯৪), ‘ডরার’ (১৯৯৬), ‘কারোবার: দ্য বিজনেস অব লাভ’ (২০০০) ছবিতে একসঙ্গে জুটি বাঁধেন।

বর্ষীয়ান অভিনেতা ঋষি কাপুর গত ৩০ এপ্রিল পৃথিবীকে বিদায় জানিয়েছেন। দুই বছর ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ৬৭ বছরে মারা যান তিনি। তার স্ত্রী নিতু কাপুর বলিউডের একসময়ের তুখোড় অভিনেত্রী। তাদের ছেলে রণবীর কাপুর বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা। মেয়ে ঋধিমা কাপুর সাহানি পেশায় জুয়েলারি ডিজাইনার।

তথ্যসূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.