264480

পৃথিবীর মতো মনোমুগ্ধকর চাঁদের পূর্ণাঙ্গ ম্যাপ তৈরি

দূর থেকে দৃষ্টি দিতেই আলো ও অন্ধকারের দাগ দৃশ্যমান। এটি পৃথিবীর সবচেয়ে কাছের স্বর্গীয় প্রতিবেশী উপগ্রহ চাঁদের সমৃদ্ধ বৈচিত্র। বিজ্ঞানীরা সম্মিলিতভাবে চাঁদের শিলাসহ উপগ্রহটির মনোমুগ্ধকর পূর্ণাঙ্গ ম্যাপ তৈরি করেছেন।

তৈরি করা ম্যাপ শুধুমাত্র দেখতে অসাধারণ নয়, ভবিষ্যতে চন্দ্র অভিযানে প্রতিচিত্র হিসেবে কাজ করবে। নভোচারীদের সঠিক স্থানে অবতরণ ও উপগ্রহটির এলাকায় ভবিষ্যতের জন্য বৈজ্ঞানিক গবেষণায় কাজে দেবে।

চাঁদের ভূতত্ত্বের ম্যাপের মধ্যে সবকিছু রেখেছে নাসা, টেক্সাসের চন্দ্রগ্রহের প্রতিষ্ঠান ও অ্যারিজোনায় অবস্থিত জ্যোতির্বিজ্ঞান কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক টিম। যা মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ (ইউএসজিএস) দ্বারা পরিচালিত হয়েছে।

ইউএসজিএস-এর পরিচালক ও সাবেক নাসার নভোচারী জিম রেলি বলেন, মানুষ চাঁদের দ্বারা সব সময় মুগ্ধ হয়। আমরা যখন চাঁদ থেকে ফিরি তখনওমুগ্ধ হয়  মানুষ। সুতরাং ইউএসজিএস দ্বারা অসাধারণ ম্যাপ সৃষ্টি ভবিষ্যতে চন্দ্র অভিযানের জন্য নাসার পরিকল্পনাকে সহায়তা করবে।

চাঁদের বিস্তর ম্যাপ

চাঁদের বিস্তর ম্যাপ

সিক্স অ্যাপোলে-ইরা ম্যাপ এবং সম্প্রতি স্যাটেলাইটের ছবি থেকে সংগ্রহ করা তথ্য থেকে চাঁদের ম্যাপটি প্রণীত হয়েছে। সমস্ত ম্যাপের অংশকে সুসঙ্গত করতে ভৌগলিক সফটয়ার ব্যবহার করা হয়েছে। এছাড়া সমন্বয় করা হয়েছে বিভিন্ন ধরণের পুরনো ও নতুন ডাটাসেটস। চাঁদের ম্যাপের প্রকল্পে জড়িত বিজ্ঞানীরা উপগ্রহটির ম্যাপের শীলার নামকরণ, বর্ণনা ও বয়স উল্লেখ করেছেন। যেটি আগের সত্যায়িত ম্যাপ থেকে নেয়া হয়েছে।

আগ্নেয়গিরির মুখ, শিখা, ফাটল, শৈলশিরা, খুঁত ও চাঁদের পৃষ্ঠে থাকা অন্যান্য সমস্যার ভূ-তথ্য ম্যাপে রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যতে ম্যাপে আরো বিস্তারিত বিষয় আনতে পরিকল্পনা করছেন।

ইউএসজিএস-এর জ্যোতির্বিজ্ঞানের পরিচালক জাস্টিন হেগারিটি বলেন, নতুন ম্যাপটি পুরোপুরিভাবে তৈরি ও অঙ্গীভূত করতে আমাদের টিমকে অনেক প্রচেষ্টা করতে হয়েছে। ঐতিহাসিক ম্যাপটি করতে অনেক গ্রুপ ও আঞ্চলিক স্কেলও কাজ করেছে। ম্যাপটিতে ভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার হয়েছে যা অন্যান্য গ্রুপের দ্বারা তৈরি করা ম্যাপের ফিচারের সঙ্গে মিলবে না।

চাঁদ কঠিন আবরণে আচ্ছাদন করা। কিন্তু তার গঠনাত্বক প্লেট পৃথিবীর মতো নেই। ৪.৫ বিলিয়ন বছরের ইতিহাস একটি উত্তম পন্থার মাধ্যমে চাঁদের ভূতত্ত্ব বুঝা যাবে। যেমন, কিভাবে এটি অস্তিত্বের মধ্যে এসেছিল, কিভাবে এটি বিকশিত হয়েছে এবং তার সংঘর্ষের পথ।চন্দ্র অভিযানে সংগ্রহ করা শীলার নমুনা স্যাটেলাইটের গবেষণা ম্যাপটি তৈরিতে সহায়তা করেছে।ভবিষ্যতে অভিযানের জন্য নতুন ম্যাপের  ব্যাপারে কোনো সন্দেহ থাকবে না। ২০২৪ সালের মধ্যে অনেক মানুষকে চাঁদে পাঠাতে পরিকল্পনা করছে নাসা।

ইউএসজিএস-এর ভূবিজ্ঞানী কোরে ফরটেজো বলেন, এই ম্যাপ কয়েক দশকের দীর্ঘ প্রকল্পের সমাপ্তি। ম্যাপটিতে অনেক তথ্য দেয়া রয়েছে যা চাঁদের পৃষ্ঠের নির্দিষ্ট ও বাকি অংশের গবেষণায় অনুসন্ধানের সংযোগ করে দেবে।

সূত্র-সায়েন্স অ্যালার্ট

পাঠকের মতামত

Comments are closed.