263720

করোনায় ডাক্তারের ভূমিকা পালন করবে ” ডাক্তার করোনা”

নোয়াখালী প্রতিনিধি : [২] জেলার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) এর ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী আহমেদ কাওছার তৈরি করেছেন একটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সফটওয়্যার যার নাম “ডাক্তার করোনা”।এই সফটওয়্যার এর মাধ্যমে করোনো সংক্রমণের হার কমানো, করোনায় নতুন রোগী সনাক্তকরণ ও ডাক্তারদের সহায়ক হিসেবে করোনা টেস্ট করা,করোনা টেস্ট করার প্রয়োজন আছে কিনা এসব তথ্য জানা যাবে ।

[৩] সফটওয়্যারটি তৈরিতে কাওছারের সাথে সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী এস কে ফয়সাল আহমেদ এবং চুয়েটের সিএসই বিভাগের শিক্ষার্থী অভিষেক দাস।

[৪] সফটওয়্যারটি তৈরির বিষয়ে আহমেদ কাওছার বলেন,আমাদের এই সফটওয়্যার টি তৈরির জন্য আমরা বাংলা ভয়েস রিকোগনিশন, বাংলা ভাষা প্রসেসিং, বাংলা চ্যাটবট, মেশিং লার্নিং ক্লাসিফাইয়ার ও ওয়েব এপস ব্যবহার করেছি। আমরা মনে করছি, আমাদের এই কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সফটওয়্যার ব্যবহারের মাধ্যমে করোনার সংক্রামন হার অনেকাংশে কমানো সম্ভব ও নতুন করোনা রোগী শনাক্ত করার ক্ষেত্রেও এটি অনেক বড় ভূমিকা পালন করতে পারে।এছাড়াও ডাক্তারদের সুরক্ষার ক্ষেত্রেও অবদান রাখতে পারবে । মূলত এই সফটওয়্যারটি বর্তমান পরিস্থিতে একজন ডাক্তারের সহায়ক হিসেবে কাজ করবে।”

[১] সংখ্যালঘুদের আতঙ্কে রেখেছে তৃণমূল, কলকাতায় অভিযোগ অমিত শাহর ≣ [১] ‘ব্লাক মানডে’তে ২৩৮ বিলিয়ন ডলার হারালেন বিশ্বের শীর্ষ ৫’শ ধনী ≣ [১] করোনা মোকাবেলায় মসজিদে নববীতে থার্মাল ক্যামেরা স্থাপন করলো সৌদি কর্তৃপক্ষ
[৫] এই সফটওয়্যারটির বিষয়ে আহমেদ কাওছার আরো জানান, আমরা চীনের উহান শহরের মোট ১৩ হাজার করোনা আক্রান্ত রোগীর ডেটা বিশ্লেষন করে এমন একটি কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সফটওয়্যার নিয়ে কাজ করেছি। যেটা সম্পূর্ণভাবে একজন ডাক্তারের মত কাজ করতে সক্ষম হবে।আমাদের এই সফটওয়্যারটি ডাক্তারের ন্যায় করোনায় আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণ, করোনা টেস্টের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে জানাবে।আমাদের এই সফটওয়্যারটি সূক্ষ থেকে সূক্ষ লক্ষনগুলোও ধরতে পারবে এবং নিজে থেকে সেগুলো বিশ্লেষন করে সিদ্ধান্ত দিতে পারবে,এর পাশাপাশি এটি সর্বদা নতুন রোগীর ডাটা থেকে নিজে নিজে শিখবে যার ফলে অনলাইন মেশিন লার্নিং ও আরো নিখুত হতে থাকে।”

[৬] সফটওয়্যারটি রোগীর ইমোশন বুঝতে পারবে উল্লেখ করে আহমেদ কাওছার আরো জানান,আমাদের এই সফটওয়্যারে ৬ ধরনের ১৬ হাজার ইমোশন ডিটেকশন ডাটা ব্যবহার করা হয়েছে যাতে এটি রোগির ইমোশন বুঝতে পারবে।এটি একজন রোগীর সাথে সরাসরি বাংলা ভাষায় কথা বলবে।এটি করোনা রোগীর সাথে কবিতা, গান, গল্প বলতে পারবে এবং হোম কোরানেটাইনে বন্ধু হয়ে থাকবে।

[৭] আহমেদ কাওছার জানান, আমাদের এই সফটওয়্যারটি সাধারণ মানুষের ব্যবহার উপযোগী করার জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে যার জন্য বেশ মোটা অংকের টাকার প্রয়োজন যা আমাদের পক্ষে বহন করা সম্ভব না। তাই আমরা চাই এই পরিস্তিতিতে কেউ আমাদের সাথে এগিয়ে আসুক যাতে আমরা দেশের জন্য এগিয়ে আসতে পারি। ” সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.