263348

সেলেনা গোমেজের নিখুঁত শরীরের রহস্য ফাঁস!

সোর্স ঢাকা টাইমস

শৈশব থেকেই তারকা বনে গেছেন সেলেনা গোমেজ। কৈশোর পেরিয়ে পা রেখেছেন যৌবনে। এ দীর্ঘ সময়ে শরীরের বাঁকে বাঁকে এসেছে পরিবর্তন। এখন এক নিঢৌল শরীরের অধিকারী তিনি। তবে এই শরীর পেতে অনেক কাঠখড়ও পোড়াতে হয়েছে। সম্প্রতি এই নিখুঁত শরীরের দীর্ঘ পরিচর্যার রহস্য শেয়ার করেছেন এই গায়িকা ও অভিনয়শিল্পী।

শৈশব থেকে যৌবনে আসা পর্যন্ত শরীরের রূপান্তর নিয়ে তার ভক্তরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেক ট্রল করেছেন। কিন্তু এই গুণী শিল্পী এগুলোকে আমলে নেননি বরং নিখুঁত শরীর পেতে যতটুকু দেয়া দরকার সেদিকে মনোযোগ ছিল বরাবরই। ওজন কমিয়ে আবেদনময়ী শরীর পেতে তিনি তারকা প্রশিক্ষক অ্যামি রোসফ ডেভিসের সহায়তা নেন।

প্রতি সপ্তাহে ছয় থেকে সাত দিন তার প্রশিক্ষকের নির্দেশনায় ব্যায়াম করতেন। আর সেই সাধনায় এমন চমৎকার শরীরের অধিকারী তিনি। তার মতো শরীর পেতে আপনিও চেষ্টা করতে পারেন সেই ব্যায়ামগুলো।

প্রথম দিন ২০ মিনিট ধরে ওয়ার্মআপ, জগিং, লাঙ্গেজ, স্কোয়াডস, স্ট্রেসেস, জাম্পিং জ্যাকস দ্বিতীয় দিন একই সময় ২০ মিনিট ধরে ওয়ার্মআপ, স্ট্রেস, জগিং, ক্রাঞ্চেস, পুশ-আপ, লাঙ্গেজ, স্কোয়াডস, জাম্পিং জ্যাকস তৃতীয় দিন ৩০ থেকে ৪০ মিনিট ধরে ওয়ার্ম আপ এবং সার্কিট ট্রেনিং। চতুর্থ দিন এক ঘণ্টা ওয়ার্ম আপ এবং পাইলেটস আর পঞ্চম দিন বিরতি। তারপর ষষ্ঠতম দিনে এক ঘণ্টায় প্রথমে ওয়ার্ম আপ এবং পরে মেডিটেশন ও ইয়োগা। সপ্তম দিনে আবারো বিরতি।

 

শুধু ব্যায়ামে নয় খাবারেও এনেছিলেন পরিবর্তন। সেলেনা গোমেজের ডায়েট রুটিনে জাঙ্ক ফুড এর পরিবর্তে ছিল শুধুই স্বাস্থ্যকর খাবার। তিনি সব ধরনের খাবার খেতে পছন্দ করলেও ত্বককে হাইড্রেট করার জন্য এক দিনে প্রচুর পানি পান করেন।

সকালে গোমেজ খাবেন অর্ধেক বুরিটোর মধ্যে রয়েছে চোরিজো, স্ক্যাম্বল ডিম, গ্রানোলা, গ্রিক দই, অ্যাভোকাডো। মধ্যাহ্নভোজে অ্যাভোকাডো, শিমের সাথে কিছুটা জলপাই তেল ছিটিয়ে, লেবুর রস এবং লাল ওয়াইন ভিনেগারযুক্ত তুর্কি সালাদ গ্রহণ এবং রাতের খাবারে অ্যাভোকাডোর টেরিয়াকি বাটি, মেরিনেটেড শসা, টেরিয়াকি সসের সাথে ভাত, রাতে মশালির সাথে সুশির বা সালমন খেতে পছন্দ করেন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.