262017

বাবার ইচ্ছা পূরণে হাসপাতালেই মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান

ডেস্ক রিপোর্ট : বাবার ইচ্ছে ছিল ধুমধাম করে মেয়ের বিয়ে দেবেন। বাধ সাধল মরণব্যাধি ক্যানসার।

নয় বছর ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চলছে তার। মৃত্যুর আগে মেয়ের বিয়ে দেখে যাওয়ার ইচ্ছা পূরণে সামাজিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। ক্যানসার যেন সেই পাঁচটা দিনও দেবে না বাবাকে তেমনই আশঙ্কা চিকিৎসকদের।

এ কারণে ক্যানসার আক্রান্ত বাবার চোখের সামনে অন্তত মেয়ের বিয়ের রেজিস্ট্রিটা হতে পারে, তারই ব্যবস্থা করে হাসপাতাল।

মঙ্গলবার ভারতের হাওড়ার এক হাসপাতালে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে শেষ পর্যায়ে পৌঁছে যাওয়া বাবার সামনেই তার মেয়ের রেজিস্ট্রি বিয়ে হল। হাসপাতালের ঘরে সবকিছুর ব্যবস্থা করেছিল কর্তৃপক্ষ।

৬১ বছরের সন্দীপ কুমার সরকার অক্সিজেন নিতে পারছিলেন না। ফলে উৎকণ্ঠায় ছিলেন পরিবারের সকলেই।

সন্দীপ কুমার শেষ পর্যন্ত মেয়ের রেজিস্ট্রির বিয়েতে অভিভাবক হিসেবে নিজেই সই করলেন। কেক কেটে অতিথিদের মুখে কেকের টুকরো তুলেও দিলেন।

রেলের অবসরপ্রাপ্ত ইঞ্জিনিয়ার সন্দীপ কুমার। ২০১১ সাল থেকে তিনি জিভের ক্যানসারে আক্রান্ত। মুম্বাইয়ের একটি ক্যানসার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বর্তমানে হাওড়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

মেয়ের কথায়, ‘অদ্ভুত অনুভূতি। আমাদের নতুন জীবন শুরু হল অথচ বাবার জীবন শেষের পথে। চিকিৎসায় আর সাড়া দিচ্ছেন না। শুধু আমাদের একসঙ্গে দেখার অপেক্ষায় মনের জোরে লড়াই করছেন। বাবার ইচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের জন্য সফল হয়েছে।’ ব্যাংক কর্মকর্তা জামাই সুদীপ্ত বলেন, ‘কয়েক বছর ধরে ওর (শ্বশুর) লড়াই দেখছি। এমন মনের জোর কারও দেখিনি। হাসপাতাল থেকে বিয়ের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন তিনি।’

পাঁচ দিন পর মেয়ের সামাজিকভাবে বিয়ে। হাল ছাড়তে নারাজ সন্দীপ কুমার। বললেন, মেয়ের বিয়ে তিনি দেখবেনই।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.