261517

‘ভয়াবহ পরিস্থিতিতেও দেশের কথা চিন্তা করে চীন ত্যাগ করছে না এই শিক্ষার্থী’ (ভিডিও)

ডেস্ক রিপোর্ট : দিন যতই যাচ্ছে নতুন প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস ততই মারাত্মক আকার ধারণ করছে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে কেবল চীনেই এখন পর্যন্ত ১০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৪ হাজারের বেশি মানুষ। এই ভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান শহরে প্রায় তিনশ’রও বেশি বাংলাদেশি শিক্ষার্থী আটকা পড়েছে বলে জানা যায়। উহান শহরে নিজেদের কক্ষে প্রায় বন্দী অবস্থায় রয়েছেন।

অবস্থানরত বাংলাদেশিরাও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন। তবে উহান শহরে থাকা বিদেশি নাগরিকদের আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে চীন থেকে আসতে পারবে না বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

এদিকে দেশের কথা ভেবে আপাতত বাংলাদেশে না ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন চীনের ইয়াননান প্রদেশের কুনমিং সিটিতে অবস্থান করা বাংলাদেশি শিক্ষার্থী বর্ণ সিদ্দিকী। এক ভিডিও বার্তায় সেখানকার বর্তমান অবস্থা তুলে ধরেন তিনি। বুধবার সামাজিক মাধ্যমে ভিডিওটি ছড়িয়ে পড়ে।

ভিডিওতে তিনি জানান, এই মুর্হূতে দেশের স্বার্থে আমি আমার মাতৃভূমিতে যাবো না। চীনে আমরা শিক্ষার্থী ছাড়াও আরও হাজার হাজার বাংলাদেশি আছেন। আমরা জানি না এই রোগটা কার কাছে চলে এসেছে। এই রোগটার একটা অদ্ভুত ব্যাপার হচ্ছে, এটি শরীরে আসার পর থেকে ১৪ দিন অবস্থান করবে এবং কোনো লক্ষণও প্রকাশ করবে না। এখন আমরা যারা এখানে আছি তারা যদি দেশে ফিরে যাই তাহলে নিজের অজান্তেই কারো না কারো সাথে এই ভাইরাস দেশে চলে যেতে পারে। তাই দেশের সার্থে এখন চীনে থাকাই ভালো।

একটি গণমাধ্যমকে বর্ণ সিদ্দিকী বলেন, ‘আমি এই মুর্হূতে বাংলাদেশে যেতে চাই না। সেখানে গিয়ে আমার যদি খারাপ অবস্থা হয়, তবে তো আমার পরিবারের মধ্যেও এসব ছড়াবে। এটা ভাইরাস জনিত রোগ। কারো সাথে থাকলেই এই রোগের বিস্তার ঘটবে। আমার বাবা-মা যতই বলুক। আমি সেখানে যাবো না।’

ভিডিওতে চীনের বর্তমান পরিস্থিতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস নিয়ে গোটা চীনেই আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে এ বিষয়ে গণমাধ্যমে তেমন খবর আসছে না। আমি আমার চাইনিজ বন্ধুদের মাধ্যমে জানতে পেরেছি, চীনে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা অনেক বেশি যা বহির্বিশ্বের গণমাধ্যমে তেমন খবর প্রকাশ পাচ্ছে না। চীন সরকার চাচ্ছে না যে এই ভাইরাসটার কারণে অন্যরা উদগ্রিব হোক।’

তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে এই ভাইরাসের প্রভাব চীনের অর্থনীতিতেও পড়েছে। আমি ইতিমধ্যে অনেকগুলো বাজার ঘুরেছি, আগে এসব বাজারে শাক-সবজির কোন ঘাটতি না থাকলেও এখন কোনো কাঁচা তরকারি পাওয়া যাচ্ছে না। যা পেয়েছি তা শুষ্ক খাবার।’ সূত্র : আমাদের সময়

https://www.facebook.com/dailybangladeshpratidin/videos/528815701320101/

পাঠকের মতামত

Comments are closed.