251036

বালু উত্তোলনে ঝুঁকিতে ৬৫ কোটি টাকার সেতু

অনলাইন সংস্করণঃ- বরিশালের উজিরপুর উপজেলার বিভিন্ন নদীতে অবৈধভাবে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন চলছে। উপজেলার সাতলা ব্রিজসংলগ্ন কচা নদীতে এবং সন্ধ্যা নদীর জল্লা ইউনিয়নের টাকাবাড়ি পয়েন্টসহ একাধিক পয়েন্টে ২৫টিরও বেশি ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে।

কচা নদীতে বালু উত্তোলনের ফলে ৬৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত সাতলা ব্রিজ ভাঙনের ঝুঁকিতে রয়েছে। এছাড়া বালু উত্তোলনের কারণে বেড়িবাঁধে ভাঙন ধরার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের টাকা দিয়ে কচা ও সন্ধ্যা নদীর ২০টিরও বেশি পয়েন্টে বালু উত্তোলন করছে বালু ব্যবসায়ীরা। এর সঙ্গে জড়িত রয়েছেন সাতলা গ্রামের টিটু বিশ্বাস ও তার একাধিক সহযোগী। ৬নং ওয়ার্ডের মেম্বার হারুন অর রশিদের নেতৃত্বে জয়নাল আবেদীন, রাজু খান, রাশেদ, ওমর ফারুক মিলে সাতলা বিকন স্কুলসংলগ্ন বাজারের দক্ষিণ পাশে কচা নদী থেকে বালু উত্তোলন করছেন।

এছাড়া রাজাপুরের ফরিদ মেম্বার, হারতার তরিক ও মাইনুদ্দিন তালুকদার, সোয়েব ব্যাপারী ও কার্তিক মন্ডল উপজেলার কচা ও সন্ধ্যা নদীতে ড্রেজার দিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করছেন।

কিছুদিন আগে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহাবুব উল্লাহ মজুমদার অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধে কচা ও সন্ধ্যা নদীতে অভিযান চালান। এ সময় সাতলা বিকন স্কুলসংলগ্ন কচা নদীতে বসানো ইউপি সদস্য মো. হারুনের ড্রেজার ভেঙে ফেলেন সহকারী কমিশনার। কিন্তু এরপরও বন্ধ হয়নি বালু উত্তোলন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি জানান, কচা নদীতে নির্মিত সেতুর পিলারের পাশ থেকে বালু উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে করে নদীর তলদেশে সেতুর পিলারের পাশ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে। এ অবস্থায় ঝুঁকিতে রয়েছে সেতুটি।পাশাপাশি বেড়িবাঁধের পাশ থেকে বালু উত্তোলন করায় ঝুঁকিতে রয়েছে বাঁধ। এভাবে বালু উত্তোলনের ফলে নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে বেড়িবাঁধে ভাঙন দেখা দেবে। যেসব স্থানে বালু উত্তোলন হচ্ছে, তার পাশে কয়েকশ একর আবাদি জমি। বালু উত্তোলনের ফলে কৃষিজমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে নিঃস্ব হবে এলাকাবাসী।

এ বিষয়ে উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাসুমা আক্তার বলেন, অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হবে। অভিযানের সময় ধরা পড়লে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

সূত্র জাগোনিউজ২৪ঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.