250248

পুলিশ আটক করলো পুলিশের গাড়ি!

ডেস্ক রিপোর্ট : বরিশালের উজিরপুরে পুলিশের বিশেষ অভিযানে এক পুলিশ কর্মকর্তার কাগজপত্র বিহীন দুইটি থ্রি-হুইলার মাহিন্দ্র গাড়ি আটক করা হয়েছে।
১ সেপ্টেম্বর বিকেলে বরিশাল-স্বরুপকাঠি মহাসড়কের উপজেলার গুঠিয়া বন্দর এলাকা থেকে গাড়ি দুটি আটক করা হয়। এ ঘটনায় আটককৃত ওই দুটি গাড়ির বিরুদ্ধে ট্রাফিক আইনে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, রোববার বিকেলে থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) রুহুল আমিনের নেতৃত্বে সহকারি উপ-পরিদর্শক এএসআই মনিরুল ইসলামসহ একদল পুলিশ সদস্যদের নিয়ে মহাসড়কের ওইস্থানে অবৈধ যানবাহন আটকের জন্য চেক পোস্ট বসানো হয়।

এএসআই মনিরুল ইসলাম জানান, চেক পোস্ট চলাকালীন বরিশাল থেকে বানারীপাড়াগামী (পটুয়াখালী-থ ১১-০০৬৪ ও ৬৫) দুটি মাহিন্দ্র গাড়ি থামিয়ে চালক আল-আমিন ও সোহরাব হোসেন এর নিকট বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাওয়া হয়।

এ সময় চালকরা নিজেদের ড্রাইভিং লাইসেন্সসহ গাড়ি দুটির কোনো বৈধ কাগজপত্র দেখাতে না পারেননি। তখন গাড়ি দুটি আটক করতে চাইলে চালকরা বাধা দিয়ে বলে, ‘গাড়ি দুটি বরিশাল মেট্রোপলিটন ট্রাফিক সার্জেন্ট হাসানের। আমরা তার কাছে ফোন দিচ্ছি আটক করার আগে তার সাথে একটু কথা বলেন।’

এএসআই মনিরুল আরও জানান, গাড়ি দুটির কোনো প্রকার বৈধ কাগজপত্রাদি নেই। তাছাড়া পুলিশ যেখানেই গাড়ি আটক করে সেখানেই সার্জেন্ট হাসান ফোন দিয়ে বলেন, ‘গাড়ি দুটি আমার ছেড়ে দিন।’

এ বিষয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন ট্রাফিকের সার্জেন্ট হাসানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আটক গাড়ি দুটির মালিক তিনি নন তার দুলাভাই মনির হোসেন।

এ কারণে কোথাও ওই গাড়ি দুটো পুলিশ আটক করলে চালকরা তাকে (হাসান) ফোনে ধরিয়ে দিলে তিনি ছেড়ে দেয়ার জন্য বলেন।’

সার্জেন্ট হাসান আরও জানান, ‘ওই এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক সার্জেন্ট’র রয়েছে। উজিরপুর থানা পুলিশের যেসব কর্মকর্তারা গাড়ি দুটি আটক করে থানায় হেফাজতে নিয়েছেন তাদের উচিত ছিলো ওই এলাকায় দায়িত্বপ্রাপ্ত ট্রাফিক সার্জেন্টের কাছে গাড়ি হস্তান্তর করা। তারা অনেকটা আইন বর্হিভূত কাজ করেছে। ওই পুলিশ কর্মকর্তারা উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে গাড়ি দুটি আটক করেছে।’

পাঠকের মতামত

Comments are closed.