249811

ভারত নয় বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্রুততম অর্থনীতির দেশ

অনলাইন সংস্করণঃ- গত ৬ বছরের মধ্যে ভারতের অর্থনীতির গতি সবচেয়ে কমে গেছে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রথম প্রান্তিকে। বিজেপির দ্বিতীয়বার ক্ষমতাগ্রহণের পর, বিশ্বের ‘দ্রুততম বর্ধনশীল’ অর্থনীতির দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি প্রথম প্রান্তিকে(এপ্রিল-জুন) ছিলো মাত্র ৫ শতাংশ।

বিশ্লেষকরা বলছেন, সে হিসেবে স্বীকৃত টেকসই অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে দ্রুত বর্ধনশীল আর নয় ভারত। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের দ্রুততম অর্থনীতি। সার্বিকভাবে লিবিয়া ও রুয়ান্ডার জিডিপি প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশের উপরে দেখানো হলেও যুদ্ধবিদ্ধস্ত এই দুই দেশের প্রবৃদ্ধিকে আমলে নেয় না আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সংস্থাগুলো। -এনডিটিভি

এর আগে বার্তাসংস্থা রয়টার্সের করা এক জরিপে অর্থনীতিবীদরা ৫.৭ শতাংশ জিডিপির পূর্বাভাস দিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে প্রবৃদ্ধি দাঁড়ালো তার চেয়েও কম। বিশ্লেষকরা বলছেন, দূর্বল ভোক্তা চাহিদা এবং প্রাইভেট বিনিয়োগকারীদের অনাগ্রহেই কমে গেছে জিডিপি প্রবৃদ্ধি। এই বিষয়ে ইন্ডিয়া রেটিংস এর প্রধান অর্থনীতিবীদ দেভিন্দ্র পন্ত বলেন, ‘বর্তমান অর্থনৈতিক ধীরগতি ঠেকাতে সরকারকে অবশ্যই অবকাঠামো ও নীতিগত পরিবর্তন আনতেই হবে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পরেছে উৎপাদন খাত।গত বছর এই খাতে ভারতের মোট মূল্য সংযোজন ছিলো ১২.১ শতাংশ। যা ১ বছরের ব্যধানে নেমে এসেছে ০.৬ শতাংশে! গত মাসে ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া জানিয়েছিলো, চলতি অর্থবছরের প্রথম অর্ধে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে ৫.৮ থেকে ৬.৬ শতাংশ। আর পরের অর্ধে হবে ৭.৩ থেকে ৭.৫ শতাংশ। তারা এই পূর্বাভাসও দিয়েছিলো ভোক্তা পর্যায়ে মূল্যস্ফিতি আগের পর্যায়েই থাকবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তাদের প্রতিটি পূর্বাভাসই ভুল হয়েছে।

ভারতের কৃষি খাতের অবস্থাও ভালো নয়। এই খাতে গত বছরের একই সময়ে ৫.১ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হলেও তা নেমে এসেছে ২ শতাংশে। এর আগে শুক্রবারই ৫টি মেগাপ্রকল্পের ঘোষণা দেয় ভারত সরকার। তারা বলেছিলো ভারতকে ৫ লাখ কোটি ডলারের অর্থনীতিতে পরিণত করতে এই প্রকল্পগুলো সহায়ক হবে। কিন্তু তার পরই উঠে এলো ভারতের অর্থনীতির এই দূর্দশার চিত্র। অধিকাংশ ক্রেডিট রেটিং সংস্থা বলছে, বছরের পরের অর্ধেও পরিস্থিতির খুব একটা উন্নতি হবে না। বছর শেষে দেশটির জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৬ শতাংশের উপরে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই।

 

সূত্র এক্সক্লুসিভ রিলেটেড নিউজঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.