249356

ডিজিটাল আসক্তি থেকে বাচ্চাকে রক্ষার উপায়

অনলাইন সংস্করণঃ- টিভি ছেড়ে মোবাইল, মোবাইল ছেড়ে ল্যাপটপ। আধুনিক যুগের অধিকাংশ বাচ্চা এভাবে পার করছে তার শৈশব। এভাবে একটা সময়ে ধীরে ধীরে সে ডিজিটাল আসক্তিতে ভোগে।

এই সমস্যা থেকে বাচ্চাকে মুক্ত করতে মার্কিন মনোরোগ বিশেষজ্ঞ রেবেকা রিয়ালন বেরি বলছেন, বাবা-মাকে সবার আগে সচেতন হতে হবে। আমরা যদি সারাক্ষণ মোবাইল ফোনে চ্যাটিং করি বা কম্পিউটারে বসে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যস্ত থাকি, তাহলে সন্তানের মনে হবে, এটাই স্বাভাবিক। সন্তানের এই নেশা কাটানোর জন্য তাই নিজেও যতটা সম্ভব ইন্টারনেটের ব্যবহার কমান।

অফিস থেকে বাসায় ফিরে সন্তানের সঙ্গে সময় কাটান। তাকে কাছে টেনে নিয়ে একসঙ্গে সারা দিনের গল্প করুন। আর এই সময়টাতে আপনারাও ইন্টারনেট থেকে দূরে থাকুন। আপনার এই স্পর্শ, আদরগুলো সন্তানের জন্য খুব জরুরি। এতে বাবা-মায়ের সঙ্গে সন্তানের সুন্দর সম্পর্ক গড়ে উঠবে।

বাচ্চাদের খেলার সময় ও অবসর সময়ের প্ল্যানটি সঠিকভাবে করতে হবে। বিকেলে বাচ্চাকে খেলতে পাঠালে সে প্রকৃতির সান্নিধ্য পাবে। অন্য বাচ্চাদের সঙ্গে মিশে তার সামাজিক দিকটাও উন্নত করতে পারবে। অবসর সময়ে গান, নাচ, কবিতা, ছবি আঁকা এগুলোর চর্চা করাতে পারলে খুবই ভালো।

অনেক বাড়িতে আজকাল শিশুকে খাওয়ানোর মোক্ষম ‘হাতিয়ার’ হচ্ছে মোবাইল। অর্থাৎ ইন্টারনেটে ভেসে আসা রংবেরংয়ের নাচগান, কার্টুন, ছড়া। পন্থাটা সহজ কিন্তু সমস্যার বীজ কিন্তু রোপণ করা হয়ে গেল। বাচ্চা যতই বড় হবে তার আসক্তি ততই বাড়তে থাকবে।

ইন্টারনেট ছাড়াও যে কত কিছু করার আছে, তা বাচ্চাদের বোঝাতে হবে। বাচ্চাকে খাওয়ানোর জন্য বা ভোলানোর জন্য ওই যন্ত্রটির ব্যবহার না করে নিজেরাই গান করুন, ছড়া শোনান। প্রয়োজনে তাকে একটু বাইরে থেকে ঘুরিয়ে আনুন।

 

সূত্র দেশ রূপান্তরঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.