247089

পর্নসাইটে ঢুকলেই জেনে যাচ্ছে ফেসবুক-গুগল

অনলাইন সংস্করণঃ- কারা পর্ন দেখছে সেটি ট্র্যাক করছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ও ইন্টারনেট কোম্পানিগুলো। ফেসবুক, গুগল, ওরাকল এই ট্র্যাকিংর সঙ্গে যুক্ত বলে একটি গবেষণায় উঠে এসেছে।

বিজনেস ইনসাইডার জানায়, মাইক্রোসফট, কার্নেগি মেলন ইউনিভার্সিটি এবং ইউনিভার্সিটি অফ পেনসিলভানিয়ার গবেষকেরা ২২৪৮৪টি পর্ন সাইট বিশ্লেষণ করেছেন। এর মধ্যে প্রায় সব সাইট তৃতীয় পক্ষের কাছে গ্রাহকের ডেটা ফাঁস করে।

তারা এসব পর্নসাইটগুলোতে ওয়েবএক্সরে নামে একটি ট্র্যাকিং টুলস পেয়েছে যার মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে চলে যায়।

গবেষকেরা বলেন, আমাদের ফলাফল থেকে দেখছি ৯৩ শতাংশ পর্নসাইটের তথ্য তৃতীয় পক্ষের কাছে চলে যাচ্ছে।

২০১৮ সালের মার্চে পর্নসাইটগুলো স্ক্যান করে দেখা গিয়েছে, সেগুলো ট্র্যাক করার পেছনে ৭৪ শতাংশই কাজ করছে গুগল, ওরাকল আছে ২৪ শতাংশ এবং ফেসবুক আছে ১০ শতাংশ।

দেখা গেছে, ১৬৬৩৮ টি পর্ন সাইট ট্র্যাক করছে গুগল, ৫৩৯৬টি করছে ওরাকল এবং ফেসবুক করছে ২২৪৮টি সাইট।

যেভাবে বিপদমুক্ত থাকবেন:

শুধু পর্নসাইট নয়, যেকোনো ওয়েবসাইটে আপনি যখন ঢোকেন তখন কতগুলো কুকিজ ওই ব্রাউজারে স্টোর হয়ে যায়। এগুলো হল ছোট টেক্সট ফাইল।

দুই ধরনের কুকিজ সাধারণত স্টোর হয়। ফার্স্ট পার্টি কুকিজ ওয়েবসাইটের অপারেটর থেকে, এবং থার্ড পার্টি কুকিজ বিভিন্ন বিজ্ঞাপনদাতা প্রতিষ্ঠান অথবা অ্যানালেটিক্যাল ফার্ম থেকে আসে।

বিভিন্ন ওয়েবসাইট কিংবা অ্যাপে আপনি যখন ক্লিক করেন, তখন ওই কুকিজগুলোর মাধ্যমে আপনার ফোনের অনেক তথ্য কোম্পানিগুলোর হাতে চলে যায়। আপনি কোথায় যাচ্ছেন, কোন ওয়েবসাইটে কত সময় থাকছেন, অনলাইনে আপনার পছন্দের বিষয় কী-সব তারা জেনে যায়। এগুলো বিশ্লেষণ করে, তারা আপনার মোবাইলে, ফেসবুকে কিংবা ইনস্টাগ্রামে বিজ্ঞাপন পাঠায়।

এসব থেকে বাঁচতে আপনার অ্যাড ব্লকিং ব্যবহার করা উচিত। তাহলে আপনার পর্নঅভ্যাস তৃতীয় পক্ষ জানতে পারবে না।

আর ট্র্যাকিংয়ের হাত থেকে বাঁচতে ভিডিও দেখার পর সাইটের কুকিজ ডিলিট করে ফেলুন। ওয়েবসাইটের ইউআরএলে একদম বাঁদিকে কিছু সাইটে ‘Not secure’ লেখা থাকে। এগুলো ঝুঁকিপূর্ণ। ওখানে ক্লিক করে আপনি কুকিজ ডিলিট করতে পারেন। কিছু সাইটে ‘https://’ লেখা থাকে। এগুলো মোটামুটি নিরাপদ। তবু সুরক্ষিত থাকতে ওখানে ক্লিক করেও কুকিজ ডিলিট করতে হবে।

 

সূত্র দেশ রূপান্তরঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.