242698

প্রথম ম্যাচেই কোচ মরিজিও’র সঙ্গে রোনালদোর যুদ্ধ!

অনলাইন সংস্করণঃ- রিয়াল মাদ্রিদ ছেড়ে জুভেন্টাসে যোগ দিয়ে প্রথম মৌসুমটি নির্বিঘ্নেই কাটিয়েছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। কোচ মাসিসিলিয়ানো অ্যালেগ্রির সঙ্গে গড়েছিল বন্ধুত্বের সম্পর্ক। কিন্তু গত মৌসুম শেষে সেই অ্যালেগ্রি জুভেন্টাসের কোচের পদ থেকে সরে গেছেন। তার উত্তরসূরি হিসেবে জুভেন্টাসের কোচ হয়ে এসেছেন মরিজিও সারি। নতুন এই কোচের সঙ্গে প্রথম ম্যাচেই যুদ্ধ হয়ে গেল রোনালদোর!

কোচ-খেলোয়াড়ের যুদ্ধ মানেই কোনো সিদ্ধান্ত নিয়ে মত-পার্থক্য, বাকবিতণ্ডা, একে অন্যের ওপর ক্রুদ্ধ হওয়া। তা গত রাতে টটেনহামের বিপক্ষে ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন্স কাপের ম্যাচটি ঠিক কী কারণে কোচ মরিজিও’র সঙ্গে রোনালদোর যুদ্ধটা হলো সেটি স্পষ্ট করা হয়নি।

তবে ঘটনার প্রেক্ষিত স্পষ্টই বলে দিয়েছে, কোচের সঙ্গে রোনালদোর যুদ্ধের কারণ বদলির সিদ্ধান্ত। কোচের বদলির সিদ্ধান্তটা মনঃপুত হয়নি রোনালদোর। পর্তুগিজ সুপারস্টার তারই ক্ষোভ ঝেড়েছেন কোচ মরিজিও’র মুখের ওপরে গিয়ে।

ডাগ আউটে কোচ মরিজিও ও রোনালদোর সেই যুদ্ধ ফুঠে উঠেছে ক্যামেরার ফোকাসে। তাতে দেখা যাচ্ছে, কোচ মরিজিও ও রোনালদো, দুজনেই ক্রুদ্ধ। বাকবিতণ্ডায় কে কাকে কী বলেছেন, সেটি জানা না গেলও তাদের মধ্যে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময়ই হয়েছে, সেটি তাদের চোখে-মুখেই ফুটে ওঠে। বিশেষ করে রোনালদোর মুখায়বয়ব স্পষ্টই বলে দিয়েছে, কোচের ওপর প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ ছিলেন তিনি।

ঘটনাটা ম্যাচের ৬৩ মিনিটে। সিঙ্গাপুরে ইন্টারন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন্স কাপের ম্যাচটিতে তার ঠিক ৩ মিনিট আগেই, মানে ৬০ মিনিটে গোল করেন রোনালদো। পর্তুগিজ তারকার গোলে জুভেন্টাস এগিয়ে যায় ২-১ গোলে। কিন্তু গোলটি করার উৎসব শেষও করতে পারেননি রোনালদো। তার আগেই ডাগ আউটের দিকে তাকিয়ে দেখেন বদলি সাইনবোর্ডে তার নাম। মানে তাকে মাঠ থেকে উঠে যাওয়ার ডাক। রোনালদোকে তুলে নিয়ে পেরেইতাকে মাঠে নামান কোচ মরিজিও সারি।

কোচের সিদ্ধান্ত মেনে রোনালদো মাঠ থেকে উঠে যান বটে। কিন্তু রিজার্ভ বেঞ্চে বসার আগেই কোচের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। রোনালদো তার ক্ষোভ ঝাড়েন কোচের মুখের ওপর গিয়ে! রোনালদোর এই ক্ষোভ সংক্রমিত হয়ে জুভেন্টাস সমর্থকদের মনেও ছড়িয়ে পড়েছে কিনা কে জানে!

কারণ, রোনালদোকে তুলে নেওয়ার পরপরই গোল হজম করে বসে জুভেন্টাস। টটেনহামকে ২-২ সমতায় ফেরান ব্রাজিলিয়ান তারকা লুকাস মাউরা। এবং শেষ পর্যন্ত জুভেন্টাস ম্যাচটাও হেরেছে ৩-২ গোলে। ম্যাচের ইনজুরি সময়ে অসাধারণ এক গোল করে টটেনহামকে জয় এনে দিয়েছেন ইংলিশ ফরোয়ার্ড হ্যারি কেন।

হোক প্রাক-মৌসুম প্রস্তুতি ম্যাচ। হার তো হারই। আর সেই হারের সঙ্গে মিশে থাকল দলের প্রানভোমরা রোনালদোর সঙ্গে মনোমালিন্যের বিষয়টি। যা জুভেন্টাসের কোচ হিসেবে প্রথম ম্যাচেই চাপে ফেলে দিল ৬০ বছর বয়সী মরিজিওকে।

চেলসি থেকে সমঝোতার ছাটাই হয়ে ফিরেছেন নিজ দেশে। দায়িত্ব পেয়েছেন একেবারে চ্যাম্পিয়ন দলের। কিন্তু শুরুতেই দলের সেরা খেলোয়াড়টির সঙ্গে মনোমালিন্য, উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা। একটুকু বলা যায়, টিকে থাকতে হলে এই তিক্ততা ভুলে মরিজিওকে রোনালদোর সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়তেই হবে। খুঁজে বের করতে হবে রোনালদোকে খুশি রাখার পথ। রোনালাদোকে খুশি রাখতে না পারলে তার প্রভাব পড়বে দলের মাঠের পারফরম্যান্সে। আর দলের মাঠের পারফরম্যান্স খারাপ হলে তার কোপটা পড়বে কোচের ঘাড়েই।

 

সূত্র পরিবর্তনঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.