প্রেমিকের সঙ্গে স্ত্রীর বিয়ে দিয়েছিল মোড়লরা, ‘জোর করে’ বাড়ি নিয়ে গেল স্বামী
অনলাইন সংস্করণঃ- অভিযোগ ছিল, গৃহবধূর সঙ্গে গ্রামের এক যুবকের পরকীয়া সম্পর্ক রয়েছে। গণআদালত বসিয়ে দুজনকে গাছে বেঁধে রেখে জোর করে বিয়ে দিয়ে দেয় গ্রামবাসীরা। কিন্তু সেই ‘বিয়ে’র ৬ ঘণ্টা কাটতে না কাটতেই স্ত্রীকে ফের ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন স্বামী। একপ্রকার জোর করেই স্ত্রীকে ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে যান তিনি। এদিকে নিজের ভুলে ‘অনুতপ্ত’ ওই যুবক এখন বিচারপ্রার্থী। ঘটনাটি ঘটেছে পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের ঘাটালের ধসাচাঁদপুরে।
ঘাটালের মনশুকা ধসাচাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা ওই গৃহবধূ এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিলেন। বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের কথা ফাঁস হয়ে যায় গোটা গ্রামে। এক পর্যায়ে যুগলকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন গ্রামবাসীরা। আর তারপরই শুরু হয় যুগলকে বেঁধে রেখে সালিশির পালা।
ওই যুগলকে ধরে প্রথমে একটি খুঁটিতে বাঁধে গ্রামবাসীরা। তারপর শুরু হয় ‘বিচার পর্ব’। রীতিমতো সালিশি সভা বসে গ্রামে। সেই সালিশি সভাতেই স্থির হয় যুগলকে বিয়ে দেওয়া হবে। সেই মতো ওই যুবকের সঙ্গে ওই গৃহবধূর বিয়ের ব্যবস্থাও করে ফেলেন গ্রামের মানুষ। চলে আসে মালা। তারপর সালিশি সভায় মালাবদল করে ‘শুভ পরিণয়’ সম্পন্ন হয়। যুগলের ভিডিও ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
এদিকে সকালে গ্রামে ফিরে গোটা ঘটনার কথা জানতে পারেন ওই গৃহবধূর স্বামী। তারপরই জোরপূর্বক স্ত্রীকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যান তিনি। আর এদিকে এই ঘটনায় ভুল স্বীকার করে ‘বিচার’ প্রার্থনা করছেন গৃহবধূর প্রেমিক ওই যুবক। এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
একদিকে মোড়লের আদেশে ওই গৃহবধূকে আবার ‘বিয়ে’ দেওয়া হয়েছে! অন্যদিকে তাঁকে আবার ঘরে ফিরিয়ে নিয়ে গেছে স্বামী। তাই ওই গৃহবধূর ‘পরিণতি’ এখন কী? তা নিয়ে উত্তেজনা শুরু হয়েছে গ্রামজুড়ে।
ঘটনার কথা জানতে পেরে ঘাটালের মহকুমাশাসক অসীম পাল জানিয়েছেন, সালিশি সভা ডেকে এভাবে গ্রামবাসীদের আইন হাতে তুলে নেওয়া কোনওভাবেই উচিত হয়নি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্র: জি-নিউজ