241514

এখন মেলেনিয়া চুপ কেন?

অনলাইন সংস্করণঃ- বর্ণবিদ্বেষী মন্তব্যের জেরে সারা বিশ্বে সমালোচিত ট্রাম্প। মার্কিন কংগ্রেসের চার নারী সদস্যকে প্রেসিডেন্ট আমেরিকা ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন। আর এতেই তোলপাড় মার্কিন মুলুক। জন্মসূত্রে ওই চারজনের একজন মার্কিন না হলেও তার বেড়ে ওঠা সেদেশেই। বাকি তিন জনের তো জন্ম কর্ম সবই সে দেশে। যার সঙ্গে মিল রয়েছে ট্রাম্প পত্নী মেলানিয়ার। কিন্তু, স্বামীর মন্তব্যে তিনি কেন নির্বাক? এ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন মহলে।

অথচ গত বছর ট্রাম্প যখন শরণার্থী শিশুদের বাবা-মায়ের থেকে আলাদা করে দেওয়ার নীতি কার্যকর করতে যান, তখন সরব হতে দেখা গিয়েছিল মেলানিয়াকে। তিনি বলেছিলেন, ‘শিশুদের বাবা-মায়ের কাছ থেকে আলাদা করে দেওয়ার নীতি মানতে পারছি না। এটা হৃদয়বিদারক।’ কিন্তু এ বার এখনও পর্যন্ত কিছুই শোনা যায়নি মেলানিয়ার মুখে।

ফার্স্ট লেডির জন্ম স্লোভেনিয়ায়, যা একসময়ে যুগোস্লোভিয়ার অংশ ছিল। ১৯৯১ সালে স্লোভেনিয়া স্বাধীন হয়, ট্রাম্পের সে সময়ে বয়স ২১ বছর। ওই সময়েই মডেলিংয়ের জন্য স্লোভেনিয়া ছেড়ে মেলানিয়া প্রথমে যান ইটালি এবং পরে ফ্রান্স। ১৯৯৬ সালে তিনি নিউ ইয়র্কে আসেন। সেখানেই ১৯৯৮ সালে তার ধনকুবের ব্যবসায়ী ট্রাম্পের সঙ্গে পরিচয়। মেলানিয়া ট্রাম্পকে বিয়ে করেন ২০০৫ সালে এবং পরের বছর সেই সূত্রে মার্কিন নাগরিকত্ব লাভ করেন।

নাগরিকত্ব-প্রশ্নে তিনি বরাবরই বলে এসেছেন, আইনি পথেই আমেরিকার নাগরিক হয়েছেন। মেলানিয়ার বাবা-মা-ও ‘চেন মাইগ্রেশন’-এর (পারিবারিক সূত্রে) সুবাদে মার্কিন নাগরিক। যদিও এখন ট্রাম্প নিজেই পরিবার-সূত্রে নাগরিকত্ব দেওয়ার নীতির বড় সমালোচক।

নিউ ইয়র্কের আলেকজ়ান্দ্রিয়া ওকাসিয়ো কর্তেজ়, মিনেসোটার ইলান ওমর (জন্ম সোমালিয়ায়), মিশিগানের রশিদা তালিব এবং ম্যাসাচুসেটসের আইয়ানা প্রেসলিকে নাম না-করে দেশ ছাড়তে বলেছেন ট্রাম্প। যদিও তারা আমেরিকার নাগরিক। এ নিয়ে কেবল যুক্তরাষ্ট্র নয়, গোটা ‍বিশ্ব জুড়ে সমালোচিত হচ্ছেন ট্রাম্প।

 

সূত্র: আনন্দবাজার

পাঠকের মতামত

Comments are closed.