‘তদন্তে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে’
অনলাইন সংস্করণঃ- বরগুনায় আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার তদন্তে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ রোববার সচিবালয়ে ঈদুল আজহা উপলক্ষে সার্বিক আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল শনিবার সংবাদ সম্মেলন করে ছেলের স্ত্রী আয়েশা আক্তার মিন্নিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান রিফাতের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ। এ বিষয়ে আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন সাংবাদিকরা।
এ সময় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তদন্তের মধ্যে অনেক কিছু বেরিয়ে আসবে। অ্যাডভান্স কিছু বলে লাভ নেই। তদন্ত শেষ হোক, তখন আপনারা সব জানতে পারবেন।’
গতকাল সংবাদ সম্মেলনে আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ বলেন, ‘আজ আমার ছেলে হত্যার বিষয়ে কিছু কথা শেয়ার করার জন্য আপনাদের সামনে উপস্থিত হয়েছি। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি এবং সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতায় রিফাত হত্যাকাণ্ডে জড়িত এ পর্যন্ত ১৪ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ-ভারাক্রান্ত মনে আমাকে বলতে হচ্ছে, এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যে থাকা হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে। কীভাবে তারা বাইরে তা বলার জন্যই আমি আজ এখানে এসেছি।’
‘রিফাত হত্যাকাণ্ডে তার স্ত্রী মিন্নি জড়িত’ উল্লেখ করে আবদুল হালিম অভিযোগ করেন, হত্যাকাণ্ডের প্রধান আসামি নিহত নয়ন বন্ডে সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল মিন্নির। এ কথা তিনি গোপন করেছিলেন। তার পরিবারও বিষয়টি গোপন রাখে। নয়নকে তালাক না দিয়েই তার ছেলেকে বিয়ে করেন মিন্নি। তাদের মধ্যে যোগাযোগ অব্যাহত ছিল।
নিহত নয়ন বন্ডের মা সাহিদা বেগমও বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমের সঙ্গে সাক্ষাৎকারে বলেছেন, মিন্নি ঘটনার আগের দিনও তার বাসায় গেছেন এবং নয়নের সঙ্গে দেখা করেছেন, বলে জানান শরীফ।
গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের মূল ফটকের সামনের রাস্তায় স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকার সামনে কুপিয়ে জখম করা হয় রিফাত শরীফকে। বেলা তিনটার দিকে বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রিফাতের মৃত্যু হয়। পরদিন এই ঘটনায় রিফাত শরীফের বাবা আবদুল হালিম শরীফ বাদী হয়ে বরগুনা থানায় ১২ জনের নামে এবং ৪-৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে একটি মামলা করেন।
সূত্র দৈনিক আমাদের সময়ঃ