239955

জেনেনিন বিয়ের সবচেয়ে উপযুক্ত বয়স কোনটা?

অনলাইন সংস্করণঃ- বিয়ে হলো একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি। যার মাধ্যমে দুইজন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়।
বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতিভেদে বিয়ের সংজ্ঞার তারতম্য থাকলেও সাধারণভাবে বিবাহ এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে দুইজন মানুষের মধ্যে ঘনিষ্ঠ ও যৌন সম্পর্ক সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে।

কিছু সংস্কৃতিতে, যে কোনো প্রকারের যৌন কর্মকাণ্ডে প্রবৃত্ত হওয়ার পূর্বে বিয়ে সম্পন্ন করাকে বাধ্যতামূলক হিসেবে পরামর্শ দেয়া হওয়া অথবা বিবেচনা করা হয়।

বিশদ বিবৃত সংজ্ঞার ভাষায় বলতে গেলে, বিয়ে হলো একটি বৈশ্বিক সার্বজনীন সংস্কৃতি। বিয়ে সাধারণত কোনো রাষ্ট্র, কোনো সংস্থা, কোনো ধর্মীয় কর্তৃপক্ষ, কোনো আদিবাসী গোষ্ঠী, কোনো স্থানীয় সম্প্রদায় অথবা দলগত ব্যক্তিবর্গের দ্বারা স্বীকৃত হতে পারে।

বিয়ের মাধ্যমে পরিবারের সূত্রপাত হয়। এছাড়া বিয়ের মাধ্যমে বংশবিস্তার ও উত্তরাধিকারের সুযোগ সৃষ্টি হয়। বিয়ের মাধ্যমে পরস্পর সম্পর্কিত পুরুষকে স্বামী (পতি) এবং নারীকে স্ত্রী (পত্নী) হিসাবে চিহ্নিত করা হয়।

স্বামী ও স্ত্রীর যুক্ত জীবনকে “দাম্পত্য জীবন” হিসাবে অভিহিত করা হয়। বিভিন্ন ধর্মে বিয়ের বিভিন্ন রীতি প্রচলিত। একইভাবে বিভিন্ন সমাজে বিভিন্ন প্রথায় বিয়ে অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে।

বিয়ে মূলত একটি ধর্মীয় রীতি হলেও আধুনিক সভ্যতায় এটি একটি আইনী প্রথাও বটে। বিবাহবহির্ভুত যৌনসঙ্গম অবৈধ বলে স্বীকৃত এবং ব্যাভিচার হিসাবে অভিহিত একটি পাপ ও অপরাধ।

বিয়ের জন্য উপযুক্ত বয়স কত? তা নিয়ে আমাদের অনেকেরই প্রশ্ন রয়েছে। অনেকেরই ধারণা শারীরিক ও আর্থিক সামর্থ্য থাকলেই বিয়ে করা যায়। এখানে বয়স লাগে না।

তবে গবেষরকা বলছেন ভিন্ন কথা। বিয়ের সঠিক বয়সটি জেনে নিয়ে সে বয়সে বিয়ে করার গুরুত্ব সম্প্রতি তুলে ধরেছেন গবেষকরা। জেনে নিন সেই বয়সটা কত?

অনেকেরই ধারণা ২০ বছর বা তার আশপাশের বয়সে বিয়ে করাই ভালো। অনেকের আবার ধারণা বেশি বয়সে বিয়ে করাই সবচেয়ে ভালো। এক্ষেত্রে গবেষকরা সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়েছেন এ গবেষণায়। এতে উঠে এসেছে বিয়ের জন্য সবচেয়ে ভালো বয়স হলো ২৬ বছর।

কেন ২৬ বছর?
সম্প্রতি গবেষকরা জানিয়েছেন বিয়ের জন্য সেরা বয়স হলো ২৬ বছর। কিন্তু কেন? এ বিষয়টি নির্ণয়ের জন্য একটি বিশেষ সূত্রের ব্যবহার করেছেন গবেষকরা। এতে উঠে এসেছে ৩৭ শতাংশের কথা।

গবেষকরা বলছেন, ধরুন একজন মানুষ ১৮ থেকে ৪০ বছর বয়সের মধ্যে বিয়ে করতে পারেন। এক্ষেত্রে তার বিয়ের জীবনের (২২ বছরের) ৩৭ শতাংশ যখন পার হয় তখনই এসময়ের তুঙ্গে থাকে বিয়ের উপযুক্ত বয়স।

গবেষকরা বলছেন, একটি চাকরি খোঁজা, সম্পত্তি ক্রয় করা কিংবা সঙ্গী বাছাই করা সব ক্ষেত্রেই ৩৭ শতাংশ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আর এক্ষেত্রে হিসাবমতো ২৬ বছরটিই হচ্ছে সে বয়সটি।

এ বয়সটিকে উপযুক্ত বলার কারণ এ সংখ্যাটি গাণিতিকভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জন্য উপযুক্ত বলে মনে করছেন গবেষকরা।

আর এ বয়সে বিয়ে করার জন্য উপযুক্ত সঙ্গী খোঁজা ও পরিবার গড়ে তোলার মতো যথেষ্ট সক্ষমতা অর্জিত হয়।

এ বিষয়ে গবেষণা করেছেন ব্রায়ান ক্রিস্টিয়ান ও টম গ্রিফিথস। তারা একত্রে এ গবেষণার বিষয়বস্তু তুলে ধরেছেন একটি জার্নালে।

আর এতে কম্পিউটার সায়েন্সের সহায়তায় মানুষের বিয়ের উপযুক্ত বয়স নির্ণয় করা হয়েছে।

 

সূত্র দেশ রূপান্তরঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.