234271

দিনাজপুরে যুবককে গাছে বেঁধে নির্যাতন

ডেস্ক রিপোর্ট : দিনাজপুরের বিরলে মধ্যযুগীয় কায়দায় দিলীপ চন্দ্র রায় (৩০) নামে এক যুবককে গাছের সাথে বেঁধে সারাদিন পাশবিক নির্যাতন করা হয়েছে। পুর্বের একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাঁকে গাছের সাথে বেঁধে নির্যাতন করা হয় বলে জানা গেছে। নির্যাতিত যুবক উপজেলার শহরগ্রাম ইউপি’র চাপাই নওদাপাড়া গ্রামের মৃত কান্দুড়া চন্দ্র রায়ের পুত্র।

প্রত্যক্ষদর্শী রানি, মণি বালা, বৃষ্টিসহ অনেকে জানান, গত ৬ মাস আগে নির্যাতিত যুবক দিলীপের সাথে পার্শ্ববর্তী বাড়ির নিতাই চন্দ্র রায়ের কন্যা টেপেরী রানি (১৩) এর সাথে অনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠার গুজবে উভয় পরিবারের সাথে মনোমালিণ্য সৃষ্টি হয় এবং ঐ ঘটনায় দিলীপ গত ৬ মাস ধরে বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র পলাতক ছিল।

দিলীপের পরিবারের লোকজন জানান, গত ১ মাস পূর্বে দিলীপ বাড়িতে ফিরে আসে এবং স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে সংসার পরিচালনা করে আসছিল।
১৪ জুন শুক্রবার সকালে পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী পাশের বাড়ির নিতাই চন্দ্র রায়ের পুত্র শমেষ চন্দ্র রায়ের নেতৃত্বে তার ভাই বাবলু চন্দ্র রায়, নির্মল চন্দ্র রায় ও তার মামা একই উপজেলার ধামইড় ইউপি’র দারইল গ্রামের মৃতঃ আন্ধারু চন্দ্র রায়ের পুত্র মন্টু চন্দ্র রায় মিলে দিলীপকে বাড়িতে তুলে নিয়ে যায় এবং কাঁঠাল গাছের সাথে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় পাশবিক নির্যাতন করে।

খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য রঞ্জন চন্দ্র রায় ও ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা অরুণসহ এলাকার বেশকিছু লোকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে নির্মম নির্যাতনের প্রতিবাদ জানালে মেয়ের ভাই শমেষ ও তার লোকজন তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। বিকালে খবর পেয়ে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান (মুরাদ) ঘটনাস্থলে আসে এবং তিনিও ঐ যুবককে শারিরিক নির্যাতন করে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করে তাঁর কাছে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে ছেড়ে দেয়। এ ব্যাপারে তাঁর কাছে জানতে মুঠোফোনে বার বার চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি। নির্যাতনকারী শমেষ চন্দ্র রায়, বাবুলু চন্দ্র রায়, নির্মল চন্দ্র রায় ও মন্টু চন্দ্র রায়ের নিকট জানতে চাইলেও আমাদের প্রতিবেদকের নিকট কোন মন্তব্য করতে রাজি হোননি।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত বিরল থানার অফিসার ইনচার্জ এটিএম গোলাম রসূল জানান, বিষয়টি আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকের মাধ্যমে অবগত হয়েছি। অভিযোগ পেলে আমি এ বর্বর নির্যাতনের অবশ্যই আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করবো। তার পরেও ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাচ্ছি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.