232671

মাথাব্যথা নিয়ে মাথাব্যথা

মাথাব্যথায় ভোগেননি বা ভোগেন না, এমন মানুষ এ দুনিয়ায় খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তবে মাথাব্যথার উৎস মাথাও হতে পারে, আবার নাও হতে পারে। মাথাব্যথা দুধরনের-প্রাইমারি ও সেকেন্ডারি।

প্রাইমারি মানে মাথাব্যথাই রোগ। সেকেন্ডারি হলো মাথাব্যথা যখন অন্য কোনো রোগের উপসর্গ। প্রাইমারি মাথাব্যথার রোগীর সংখ্যা বেশি। এর মধ্যে আছে টেনশনজনিত মাথাব্যথা, আছে মাইগ্রেন। কিন্তু মাথাব্যথা যে টেনশনজনিত, অন্য কোনো গুরুতর কারণে নয়, তা কীভাবে বুঝবেন?

লক্ষণ হলো-মাথার চারপাশ ও ঘাড়ের পেছনে চাপ অনুভূত হওয়া, ব্যথার তীব্রতা মৃদু থেকে মধ্যম মাত্রার, মাথার দুপাশে ভোঁতা একটা ব্যথা অনুভূত হয়, মাথার সাধারণ শারীরিক পরিশ্রমে (যেমন হাঁটা, সিঁড়িতে ওঠা) মাথাব্যথা বাড়ে না, বমিভাব বা বমি হওয়া, আলোভীতি, শব্দভীতি থাকে না এবং মাথার মাথাব্যথা আধা ঘণ্টা থেকে সাত দিন পর্যন্ত থাকতে পারে। এ ব্যথা বছরে ১০-১২ বার হতে পারে। মাথার ব্যথা দীর্ঘদিন ধরে এবং ঘন ঘন হলে ঘুমের সমস্যা, মাথা ঘোরা, মনোযোগ কমে যাওয়া, ক্লান্তিভাব দেখা দিতে পারে।

চিকিৎসা : এ ক্ষেত্রে রোগীর অভিজ্ঞতার বর্ণনা খুব গুরুত্বপূর্ণ। শুধু বর্ণনা শুনে এবং রোগীকে ভালো করে পর্যবেক্ষণ করে এ রোগ নির্ণয় করা যায়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার দরকার পড়ে না। প্যারাসিটামল, অ্যাসপিরিন, আইবুপ্রোফেন, কখনো কখনো ন্যাপ্রক্সেন জাতীয় ওষুধে এ ব্যথা সহজেই সেরে যায়। তা ছাড়া শিথিলায়নের কিছু পদ্ধতি, যেমন-শবাসন, ধ্যান, মেডিটেশন ও ম্যাসাজ ব্যথা কমাতে সাহায্য করে। রোগ সম্পর্কে বিশদ জ্ঞান ও ইতিবাচক চিন্তা রোগীকে সুস্থ থাকতে সাহায্য করবে। মাথাব্যথা নিয়ন্ত্রণে নিজের যত্ন নিন।

লেখক : কনসালট্যান্ট, ইউরোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় ০১৭১১০৬৩০৯৩, ০১৯১১৭৬৫১৫০

পাঠকের মতামত

Comments are closed.