230778

হঠাৎ ত্বকে সমস্যা হলে যা করবেন

প্রাকৃতির বিপর্যয় কেবল জনজীবনকে বিপর্যয়ের মুখে এমনই নয়। শরীরেও তার প্রভাব রেখে যায়।

হঠাৎ ঝড়-বৃষ্টিতে ত্বকে নানা ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। এর মধ্যে অন্যতম সংক্রমণ।

শুধু তা-ই নয়, ঝড়ের ধুলা বা বৃষ্টি থেকেও ত্বকে র‌্যাশ, চুলকানি, বা অ্যালার্জি হয়। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনও সাইক্লোনের সময়ে ও সাইক্লোনের পরে বাতাসে প্রচুর পরিমাণে ধুলো ছড়িয়ে পড়ে। এর মধ্যে বিভিন্ন প্রকারের রাসায়নিকের কণা ঘুরে বেড়ায়। বিভিন্ন জিনিসপত্র বা পুরনো বাড়ি ইত্যাদি ভেঙে তার গুঁড়ো বাতাসের ধুলোর সঙ্গে মিশে মানুষের ত্বকের সংর্স্পশে এলে অ্যালার্জি হয়। সংক্রমণ ঘটে। বাতাসের সঙ্গে ভেসে আসা রাসায়নিকের জেরে যে অ্যালার্জি হয় তাকে এয়ার বর্ন অ্যালাজি বলা হয়। বৃষ্টির জমা পানি ত্বকের সমস্যার অন্যতম কারণ। নোংরা জমা পানি পায়ে লাগলে ইনফেকশন পর্যন্ত হতে পারে। সেনসিটিভ ত্বক যাদের তাদের উপর ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে।”

এছাড়া ঝড়ে গাছপালাও ভেঙে পড়ে। বিভিন্ন গাছের পাতা, ফুল ও ডালের অংশ ত্বকের সংর্স্পশে এলে তার থেকেও অনেকের ত্বকে নানা সমস্যা হতে পারে।

ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে মেনে চলতে হবে আরও কিছু নিয়ম। কিন্তু ত্বকের সমস্যা এড়াতে আপনার নিজেকেই সচেতন হতে হবে। জানেন কি, চিকিৎসকরা কী পরার্মশ দিচ্ছেন?

১. ঝড়ের মধ্যে রাস্তায় না বেরোনোর পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কারণ এই সময়ের ধুলা নাকে-মুখে লেগে বিভিন্ন অ্যালার্জি হতে পারে। আর ঝড়ের পরেও যতটা সম্ভব ঢাকা পোশাক পরতে হবে। নাকে প্রয়োজনে মাস্ক পরে বেরোতে হবে।

২. আশেপাশে গাছপালা বা বাড়ি ভেঙে পড়লে তার সংর্স্পশে না যাওয়ার চেষ্টা করুন। এর থেকেও ত্বকে সমস্যা হতে পারে।
৩. ত্বকের সংক্রমণ দেখা দিলে ঝড় শেষ হলে গেলও জানলা-দরজা বন্ধ করে রাখুন, যাতে ধুলো না ঢুকতে পারে। অনেক সময় বাতাসে ঝড়ের জীবাণু থেকেই যায়।

৪. পায়ে নোংরা পানি বা কাদা লাগলে গরম জলে পা ডুবিয়ে রাখুন। নখের ভিতরে নোংরা জমছে কি না দেখে ভাল করে পরিষ্কার করুন।

কখনও নিজের ইচ্ছামতো ওষুধ খাবেন না, চিকিৎসকের পরামর্শ না নিয়ে কখনও কোনও মলমও ব্যবহার করবেন না। অনেক মলম ও ওষুধে স্টেরয়েড থাকে। সে সব এড়িয়ে চলুন।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.