229847

আপনার কিডনি ভালো আছে তো?

অনলাইন সংস্করণঃ- কিডনি রোগাক্রান্ত হতে পারে যে কোনো সময়। যাদের কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কোনো রকম আশঙ্কা রয়েছে, মানে কেউ যদি ডায়াবেটিস বা উচ্চ রক্তচাপের রোগী হয়ে থাকেন বা কারো পরিবারে কিডনির রোগী থাকেন বা যাদের বয়স ষাটোর্ধ্ব, তাদের উচিত বছরে কমপক্ষে দুবার দুটো পরীক্ষা করানো। অঈজ ও এঋজ-এর মতো দুটো সিম্পল টেস্ট করালেই ধরা জানা সম্ভব কিডনির হালহকিকত।

এসিআর বা মূত্র পরীক্ষা : এসিআর হলো অ্যালবুমিন ও ক্রিয়েটিনিনের অনুপাত। অ্যালবুমিন হলো বিশেষ ধরনের প্রোটিন। মূত্রে অ্যালবুমিন আছে কিনা, পরীক্ষা করে সেটা দেখা হয়। আমাদের শরীরের জন্য প্রোটিন অত্যন্ত জরুরি। যে কারণে রক্তে প্রোটিন থাকা খুব স্বাভাবিক। কিন্তু এই প্রোটিন কখনো মূত্রে থাকার কথা নয়। যদি মূত্র পরীক্ষায় প্রোটিন পাওয়া যায়, তার মানে হলো কিডনি ঠিকঠাকভাবে রক্ত ছাঁকতে পারছে না। তাই ইউরিন টেস্টে প্রোটিন পজিটিভ হলে নিশ্চিত হতে তার এনএফআর করাতে হবে। যদি তিন মাস বা তার বেশি সময় ধরে রেজাল্ট পজিটিভ হয়, তা কিডনি অসুখের লক্ষণ।

জিএফআর কাউন্ট করতে রক্ত পরীক্ষা : কিডনি খারাপ হলে তা রক্ত থেকে ক্রিয়েটিনিন অর্থাৎ বর্জ্য পদার্থ ঠিকমতো বের করে দিতে পারে না। তবে এই ক্রিয়েটিনিন পরীক্ষা হলো প্রথম ধাপ। এরপর গ্লোমেরুলার ফিলট্রেশন রেট দেখতে হবে। রেজাল্ট দেখে চিকিৎসক বুঝবেন কিডনির খবর কী।

লেখক : কনসালট্যান্ট, ইউরোলজি বিভাগ, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় চেম্বার : সেন্ট্রাল হসপিটাল, বাড়ি-২, রোড-৫, গ্রিনরোড, ধানমন্ডি, ঢাকা ০১৭১১০৬৩০৯৩, ০১৯১১৭৬৫১৫০।

 

সূত্র দৈনিক আমাদের সময়ঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.