228740

ওয়েট টিস্যু ব্যবহারে হতে পারে ক্যান্সার!

অনলাইন সংস্করণঃ- গরম হোক বা বর্ষা মোটামুটি প্রায় সব মেয়েদের ব্যাগেই ওয়েট ওয়াইপস বা টিস্যু পাবেনই। এটি খুব সহজে যেমন ব্যাগে নেয়া যায় তেমন ব্যবহার করতেও সুবিধা রয়েছে। আমরা অনেকেই মনে করি ওয়েট টিস্যু ব্যবহার করা মানেই পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা যায়। কিন্তু জানেন কি এই যে ফ্রেশ লেবু-শসা-অ্যালোভেরার নির্যাস যুক্ত ওয়েট টিস্যু হয়ে দাঁড়াচ্ছে আপনার বিপদের কারণ। সম্প্রতি যুক্তরাজ্যের একটি সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে এই তথ্য।

খুব তাড়াতাড়ি হাত-মুখ বা পা পরিষ্কার করতেই আমরা এই ভেজা টিস্যু ব্যবহার করি। এমনকী অনেকে মেকআপ তুলতেও এই টিস্যু ব্যবহার করেন। ফলে ড্রাই টিস্যুর ব্যবহারও এখন অনেক কমে গিয়েছে। বেড়েছে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল টিস্যুর ব্যবহারও। এছাড়াও বাচ্চাদের জন্য যে ওয়াইপস ব্যবহার করা হয় তাও খুব ক্ষতিকারক।

বিষাক্ত কেমিক্যাল

অনেক সময় বাচ্চাদের বা বড়দের বিনা কারণেই ত্বকে র‍্যাশের সমস্যা হয়। কিছুক্ষেত্রে তা খুব যন্ত্রণাদায়কও হয়ে পড়ে। ফুলে যাওয়া, ব্যথাসহ সেখানে আরো সমস্যা হয়। আসলে এই ওয়াইপসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে মিথাইল ক্লোরিসোথিয়া জোলাইন। যার ফলেই ত্বকের সমস্যা হয়। এছাড়াও এই ওয়াইপসের মধ্যে যে সুগন্ধী দেয়া থাকে তা থেকেও মারাত্মক সব সমস্যা হয়।

ব্যাকটেরিয়া ছড়িয়ে দেয়

ব্যাকটেরিয়া দূর করা তো দূরের কথা বরং এই ওয়েট টিস্যু অনেক বেশি ব্যাকটেরিয়াকে আমন্ত্রণ জানায়। কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা বলেন, মুখ পরিষ্কার রাখার ক্ষেত্রে সাবান বা জল অনেক বেশি নির্ভরযোগ্য ও নিরাপদ।

কমোডে ফেলে ফ্লাশ নয়

অনেকেরই এই অভ্যাস রয়েছে কোমডের মধ্যে ব্যবহার করা ওয়াইপস ফেলে দেন। এটা একেবারেই করবেন না। কারণ এর ফলে কোমডের পানিতে আটকে গিয়ে অন্যরকম বিপদ ঘটার সম্ভাবনা থাকে।

পরিবেশের জন্য ক্ষতিকারক

ওয়েট ওয়াইপসের উপাদানের অন্যতম হলো প্লাস্টিক। এবং তা নন বায়োডিগ্রেডেবল। ফলে ব্যবহার করার পর যখন তা ফেলে দেয়া হয় তা পানির সঙ্গে মিশে বিষাক্ত হয়ে যায় এবং জলজ প্রাণীদের ক্ষতি করে। প্রচুর জলজ উদ্ভিদ এর ফলে মারাও যাচ্ছে। এছাড়াও এই ওয়াইপস কিন্তু বর্তমানে ক্যান্সারের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।

 

সূত্র বিডি জার্নালঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.