228594

হরিণের দুটি মাথা-চামড়াসহ ৫ মণ মাংস উদ্ধার

অনলাইন সংস্করণঃ- বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী বরগুনার পাথরঘাটার বনফুল আবাসন সংলগ্ন একটি ছোট খাল থেকে দুটি মাথা ও দুটি চামড়াসহ প্রায় পাঁচ মণ হরিণের মাংস জব্দ করা হয়েছে। এ সময় হরিণ ধরার ফাঁদসহ একটি ছোট ট্রলার আটক করা হলেও এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত কাউকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার ভোররাত সাড়ে ৩টার দিকে বনবিভাগের চরলাঠিমারা বিটের কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান খান সোহাগের নেতৃত্বে এগুলো জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ট্রলার কোস্টগার্ডের মাঝি মো. ইলিয়াসের বাবা আব্দুর রহমান সিকদারের।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী চরলাঠিমারা বনফুল আবাসন সংলগ্ন একটি ছোট খালে হরিণের মাংস নিয়ে অবস্থান করছিল। রাত সাড়ে ৩টার দিকে এলাকাবাসী টের পেয়ে ট্রলারের কাছে যাওয়া মাত্রই ট্রলারে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। পরে বনবিভাগের লোকজনকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে গিয়ে মাংস ও ট্রলার জব্দ করলে তাৎক্ষনিক পাথরঘাটা থানা পুলিশকে জানালে পুলিশ ও কোস্টগার্ড ঘটনাস্থলে হাজির হন। তাদের উপস্থিতিতে দুটি চামড়া, দুটি মাথা থাকলেও প্রায় পাঁচ মণ হরিণের মাংসসহ ৩০টি রান পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে আটটি জীবিত হরিণ জবাই করা হয়েছিল।

বিট কর্মকর্তা মো. বদিউজ্জামান খান সোহাগের জানান, কোস্টগার্ডের মাঝি মো. ইলিয়াসের বাবা আব্দুর রহমান সিকদার এলাকায় হরিণ পাচারকারী হিসেবে চিহ্নিত। ওই ট্রলারটি আব্দুর রহমান সিকদারের বলে এলাকাবাসী নিশ্চিত করেছেন।

বিট কর্মকর্তা আরও জানান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার উপস্থিতিতে উদ্ধার হওয়া মাংস মাটি চাপা দেওয়া হবে।

এ বিষয়ে পাথরঘাটা থানা পুলিশ উপপরিদর্শক মনিরুজ্জামান দৈনিক আমাদের সময়কে বলেন, ‘কোস্টগার্ডের মাঝি মো. ইলিয়াসের বাবা আব্দুর রহমান সিকদারের বিরুদ্ধে স্থানীয় জেলেদের হয়রানিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। বনবিভাগ থেকে লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

কোস্টগার্ডের পাথরঘাটা স্টেশন কমান্ডার সাব লেফটেন্যান্ট জহিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আমরা সরেজমিনে যাই।’ মাংসসহ জব্দ হওয়া ইঞ্জিনচালিত ট্রলারটি কোস্টগার্ডের মাঝি ইলিয়াসের বাবার আব্দুর রহমান শিকদারের বলে তিনি নিশ্চিত করেন তিনি।

 

সূত্র দৈনিক আমাদের সময়ঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.