226401

রোজা রেখেই খেললেন ম্যাচ, ইফতারি করেই পেলেন গোল

ডেস্ক রিপোর্ট : ক্রিকেট থেকে শুরু করে ফুটবল। মুসলিম খেলোয়াড়দের ধর্মপালন নতুন কিছু নয়। খেলার মাঠেই ইসলামের প্রতি সম্মান প্রদর্শন কিংবা আল্লাহর হুকুম পালনের জন্য রোজা রেখে খেলতে নামার নজির অনেকবারই দেখা গেছে। গত মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনাল ছিল রমজান মাসে।

সংবাদমাধ্যম জানিয়েছিল, লিভারপুল তারকা মোহাম্মদ সালাহ এমনিতেই ভীষণ ধর্মপরায়ণ আর তাই ফাইনাল খেলতে নামবেন রোজা রেখেই। পরে ম্যাচ পরিস্থিতি বিবেচনা করে রোজা কাজা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন সালাহ। এ ছাড়া মেসুত ওজিলও অনেকবারই রোজা রেখে মাঠে নেমেছেন।

ফুটবলের আরো অনেক মুসলিম তারকাকেই রোজা রেখেই খেলতে দেখা গেছে। আর এবার ইসলামের প্রতি ভালোবাসা ও ধর্মের প্রতি আনুগত্যের অনন্য নজরি গড়লেন আয়াক্সের দুই খেলোয়াড়।

আমস্টারডামে কাল চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচ শুরু হয়েছিল (স্থানীয় সময়) সূর্যাস্ত যাওয়ার প্রায় আধঘণ্টা আগে। রোজা রেখেই টটেনহামের মুখোমুখি হয়েছিলেন আয়াক্সের দুই মুসলিম খেলোয়াড় হাকিম জিয়েখ ও নওসাইর মাজরাউয়ি। মরক্কোর এ দুই খেলোয়াড় মাঠে থাকতে যথাসময়েই রোজা ভেঙেছেন। ইফতার করার দশ মিনিট পর গোলের দেখাও পেয়েছেন জিয়েখ।

জিয়েখও বেশ ধর্মপরায়ণ। তার সঙ্গে মাজরাউয়িও রোজা রেখে কাল মাঠে নেমেছিলেন। ম্যাচের প্রথম ২২ মিনিট রোজা রেখেই খেলেছেন। কিক অফ শুরুর প্রায় ১৮ থেকে ২০ মিনিট পর ইফতারের সময় ছিল আমস্টারডামে। ইফতারের সময় হওয়ার পর জিয়েখ ও মাজরাউয়িকে দেখা গেছে সাইড লাইনে গিয়ে ‘এনার্জি জেল’ গ্রহণ করছেন।

অ্যাথলেটদের শরীরে তাৎক্ষণিক শক্তি জোগায় এই খাবার। ইফতার করার পর ম্যাচের ৩৫ মিনিটের মাথায় গোল পেয়ে যান জিয়েখ। তবে ডাচ কোচ রেমন্ড ভেরিয়েন অবশ্য জিয়েখ ও মাজরাউয়ির রোজা রাখার সমালোচনা করেছেন।

পুষ্টিবিদ্যায় বিশেষজ্ঞ এ কোচের যুক্তি, ‘মৌসুমের এ পর্যায়ে জিয়েখ ও মাজরাউয়ি রোজা পালন করলে সেটি হবে দায়িত্বজ্ঞানহীনের মতো কাজ। গত ১১ মাসের খাদ্যাভ্যাস পাল্টে যাবে যার প্রভাব পড়বে শরীর ও ক্লাবের ওপর। মৌসুমের এ পর্যায়ে এসে এ কাজ (রোজা পালন) করার অর্থ হলো চলন্ত চাকার মধ্যে কোনো কিছু নিক্ষেপ করা (থামিয়ে দেওয়া)। বিডি২৪ লাইভ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.