225998

রমজান মাসের ফজিলত বেশি দুই কারণে

অনলাইন সংস্করণঃ- বছর ঘুরে আবার এলো পবিত্র মাহে রমজান। মুমিন বান্দার জন্য মহান আল্লাহর অফুরন্ত করুণা নাজিল হয় এই মাসে। গণনার ধারাবাহিকতায় মাসটি হিজরি বর্ষপঞ্জির নবম মাস হলেও পবিত্র কোরআন নাজিলের মাস হিসেবে এবং হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর রেসালাতপ্রাপ্তির মাস হিসেবে এর গুরুত্ব ও ফজিলত অন্যান্য ১১মাস অপেক্ষা বহুগুণ বেশি।

দ্বিতীয় হিজরি সনের শাবান মাসের ১০ তারিখে মাহে রমজানের শ্রেষ্ঠ উপহার হিসেবে মহান আল্লাহ মুমিন বান্দার ওপর রোজার বিধান সম্বলিত আয়াত নাজিল করেন- ‘রমজান হলো সে মাস, যাতে কোরআন নাজিল করা হয়েছে। তা হলো মানুষের জন্য হেদায়েতের পথনির্দেশিকা এবং সত্য-মিথ্যার মানদণ্ড। সুতরাং তোমাদের মধ্যে যে মাসটি প্রাপ্ত হবে, সে অবশ্যই তাতে রোজা রাখবে। আর যে অসুস্থ হবে বা সফরে থাকবে সে অন্য দিনগুলোতে তা পূরণ করে নেবে। আল্লাহ তোমাদের জীবনকে সহজ করে দিতে চান, তোমাদের ওপর কঠোরতা আরোপ করতে চান না।’ (সুরা আল-বাক্বারা- ১৮৫ )

মাহে রমজানের প্রথম দশদিন রহমতের। যদিও সমগ্র রমজান মাস মহান আল্লাহর বিশেষ করুনায় পূর্ণ। রাসুলুল্লাহ (সা.) রমজান মাসকে তিনটি দশকে ভাগ করেছেন। তিনি বলেছেন, এটি এমন একটি মাস, যার প্রথম দশক রহমতের আর দ্বিতীয় দশক মাগফিরাতের এবং তৃতীয় দশক জাহান্নাম থেকে মুক্তির জন্য। (সহিহ ইবনে খুজাইমা, খণ্ড-৩, পৃষ্ঠা- ১৯১, হাদিস- ১৮৮৭)

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন- রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, যখন রমজান মাসের প্রথম রাত শুরু হয় তখন শয়তান ও দুষ্ট প্রকৃতির জিনদেরকে বন্দি করে ফেলা হয়। আর জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। অতঃপর তার একটা দরজাও আর খোলা হয় না এবং জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয়। অতঃপর তার একটা দরজাও আর বন্ধ করা হয় না। আর একজন ঘোষক অনবরত ঘোষণা করতে থাকে- হে সৎ কর্মপরায়ণ! তুমি দ্রুত অগ্রসর হও। আর হে পাপাচারী! তুমি নিবৃত হও। আর রমজানের প্রত্যেক রাত্রিতে মহান আল্লাহ অসংখ্য জাহান্নামিকে মুক্তি দান করেন। (সহীহ ইবনে হিব্বান, খণ্ড- ৮, পৃষ্ঠা- ২২২)

 

সূত্র আমাদেরসময়.কমঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.