226211

মাহে রমজানে রোজা না রাখার পরিণাম

আল-আমিন : ইসলামের পঞ্চম স্তম্বের একটি রমজানের রোজা। আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে বান্দার প্রতি আরোপিত ফরজ বিধান। কোনো ধরণের অপরগতা ছাড়া ইচ্ছাকৃতভাবে এ বিধান লঙ্ঘন করার কোনো সুযোগ নেই। যে কোনো একটি রোজা ছেড়ে দিলেই আল্লাহর নিকট জবাদিহিতার মুখোমুখি হতে হবে। আল্লাহ তায়ালা বলেন, তোমাদের মধ্যে যে ব্যক্তি এ মাস (রমজান) পাবে, সে যেন অবশ্যই তার রোজা রাখে। আর তোমাদের মধ্যে কেউ যদি অসুস্থ হয় বা সফরে থাকে, তবে অন্য সময় সে সমান সংখ্যা পূরণ করবে। (সূরা বাকারা-১৮৫)

হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বলেন, ‘যখন রমজান মাসের আগমন ঘটলো, তখন রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করলেন, ‘তোমাদের নিকট বরকতময় মাস রমজান এসেছে। আল্লাহ তয়ালা তোমাদের জন্য এ মাসের রোজা ফরজ করেছেন। এ মাসে জান্নাতের দরজাসমূহ খুলে দেয়া হয় এবং জাহান্নামের দরজাগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়। আর শয়তানদেরকে শিকলে বন্দী করা হয়। এ মাসে এমন একটি রাত আছে, যা হাজার মাসের চেয়েও উত্তম। যে এর কল্যান থেকে বিরত হলো, সে তো প্রকৃতপক্ষেই বিরত। (মুসনাদে আহমদ, হাদীস-৭১৪৮ সুনানে নাসায়ী-হাদীস-২৪১৬)

সহীহ বুখারিতে উল্লেখ আছে, ‘যে ব্যক্তি অসুস্থতা ও সফর ব্যতীত ইচ্ছাকৃতভাবে রমজানের একটি রোজাও ভঙ্গ করে, সে আজীবন রোজা রাখলেও ওই রোজার হক আদায় হবে না।’ (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৯৮৯৩, সহীহ বুখারী ৪/১৬০) হজরত আলী (রা.) বলেন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃতভাবে রমজান মাসের একটি রোজা ভঙ্গ করবে, সে আজীবন সেই রোজার (ক্ষতিপূরণ) আদায় করতে পারবে না। (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ৯৮৭৮)

শরয়ী ওযর ছাড়া যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত একটি রোজাও পরিত্যাগ করে সে নিকৃষ্ট পাপী। দ্বীনের মৌলিক ফরজ লংঘনকারী এবং ঈমান ও ইসলামের ভিত্তি বিনষ্টকারীরুপে সে পরিগণিত হবে। আর এ কাজ সে রোজার যে মঙ্গল ও বরকত থেকে বিরত হবে তা কস্মিণকালেও পাবে না। এমনকি এ রোজার কাযা করে নিলেও তা ফিরে পাবে না।

অত্যন্ত দুঃখজনক বিষয় এই যে, আমাদের সমাজে অনেক সবল-সুঠাম দেহের অধিকারী ব্যক্তিও অকারণে, সামান্য ছুতায় অসুস্থ হওয়ার অমূলক আশংকায় রোজা পরিত্যাগ করে। এতে তারা আখেরাতের কত বড় ক্ষতি নিজের ওপর টেনে নিচ্ছে তা একটু ভেবেও দেখে না।

 

সূত্র আমাদেরসময়.কমঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.