225587

আমার মৃত্যুর পর কেউ যেন না কাঁদে, সবাই যেন গান শোনায় (ভিডিও)

অনলাইন সংস্করণঃ- দেশ বরেণ্য সংগীতশিল্পী সুবীর নন্দী আর নেই। আজ (মঙ্গলবার) ভোর সাড়ে ৪টায় সবাইকে কাদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি দিয়েছেন কিংবদন্তি এই সংগীতশিল্পী। প্রিয় এই মানুষটির এভাবে চলে যাওয়া মানতে পারছেন না অনেকে। তার মৃত্যুতে সংগীতাঙ্গনে বইছে শোকের বাতাস।

সংগীতশিল্পী ফাহমিদা নবীর উপস্থাপনায় ‘সুরের আয়না’ অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে শেষ ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন সুবীর নন্দী। ফাহমিদা নবী জানান, সংগীত পাগল এই মানুষটির শেষ ইচ্ছে ছিল, তার মৃত্যুর পর কেউ যেন না কাঁদে, সবাই যেন তার দেহের পাশে গান শোনায়।

ফাহমিদা নবী বলেন, ‘সুবীর কাকার সাথে আমি আর সুমা “ফেরারী বসন্ত” ছবিতে গান করেছিলাম। “আমি কাটার ভুবনে, আলোর পিয়াসি, সুরের আগুনে পুড়ি

এক নতুন পৃথিবী গড়ি…” ছবিতে বাবা এবং দুই কন্যার কণ্ঠে গানটি ছিলো।

আব্বার গানের ভক্ত ছিলেন, আব্বাকে অনুসরণ করতেন। তাই অ্যালবাম সাজিয়েছিলেন বাবার ১০ গানটি গান দিয়ে। সেই তখন থেকে কাকার প্রতি ভক্তি ছিল বাবা-সন্তানের মতো। মা বলে ডাকতেন, তার একমাত্র সন্তান মৌকে যেমন করে ডাকতেন তেমনি করে ভালোবাসতেন আমাদেরও। কাকাকে কখনো না বলতে শুনিনি। কিছু আবদার করলে বলতেন আচ্ছা!

আমার উপস্থাপনায় “সুরের আয়না”র প্রথম পর্ব কাকা করেছিলেন। সেই পর্ব করতে গিয়ে, কাকাকে নানান কথা বলতে গিয়ে বলেছিলাম, ‘কাকা একটা ইচ্ছার কথা বলেন?’ একটু আবেগ ভরা কণ্ঠে বলেছিলেন, ‘আমার শেষ ইচ্ছা, আমার মৃত্যুর পর কেউ যেন না কাঁদে, আমি চাই আমার শবদেহের পাশে সবাই যেন আমাকে গান শোনায়।’

সঙ্গীত পাগল মানুষটি গান গান করেই কাঁদিয়ে চির বিদায় নিলেন! শুধু গান গাইলেই শিল্পী হয়ে, মানুষের মনে জায়গা করা যায় না। বিনয়ী, ধৈর্যশীল, রুচিশীল এবং নিরঅহংকার হতে হয়। সুবীর কাকা তাই ছিলেন। একজন প্রকৃত শিল্পী। তাইতো আজ তার ভক্তরা কাঁদছেন!

কাকা, আপনার গান বাঁচিয়ে রাখবে আপনাকে। সুবীর নন্দী কাকার পরিবারের সঙ্গে আমরাও সমব্যথিত তাঁর এই অকাল মৃত্যুতে! অত্যন্ত প্রিয় বিনয়ী শিল্পী’র প্রয়াণে গভীর শোক প্রকাশ করছি। যেখানেই থাকুন শান্তিতে থাকুন।

 

সূত্র দৈনিক আমাদের সময়ঃ

পাঠকের মতামত

Comments are closed.