224441

নতুন তথ্য ফাঁস, সৌদি ও আমিরাতসহ কয়েকটি দেশ দখল করতে চেয়েছিলেন সাদ্দাম হোসেন

ডেস্ক রিপোর্ট : ইরানের প্রেসিডেন্ট ডক্টর হাসান রুহানি বলেছেন, সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত তাদের অস্তিত্বের জন্য ইরানের কাছে ঋণী, কারণ সাবেক ইরাকি ডিক্টেটর সাদ্দাম হোসেন ১৯৯০ সনে ওই দু’টি দেশে হামলা চালাতে ইরানের সাহায্য বা নীরবতা চাইলেও তেহরান তা প্রত্যাখ্যান করেছিল।

সম্প্রতি (গত ২৩ এপ্রিল) নিজের মন্ত্রিসভার এক বৈঠকে রুহানি এ সম্পর্কে বলেন, ইরান যদি সে সময় সাদ্দামকে সহযোগিতা করার অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত নিত তাহলে এ দুটি দেশের কোনো অস্তিত্বই আজ থাকত না। তাই সৌদি আরব ও আরব আমিরাত তাদের অস্তিত্বের জন্য ইরানের কাছে ঋণী।

সাদ্দামের নেতৃত্বাধীন ইরাক ১৯৯০ সনে এক অভিযান চালিয়ে কুয়েত দখল করে নিয়েছিল এবং সাত মাস কুয়েত দখলে রাখতে সক্ষম হয়।

সৌদির প্রতিবেশী কুয়েত দখলের আগে সাদ্দাম ইরানের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হাশেমি রাফসানজানির কাছে এক চিঠি লিখে জানান যে পারস্য উপসাগরীয় অঞ্চলে ইরাক ও ইরানের অভিন্ন সীমান্ত (৪৯৭ কিলোমিটার থেকে বেড়ে) ৮০০ কিলোমিটারে পরিণত হবে। আর এ থেকেই বোঝা যায় সাদ্দাম কুয়েত ছাড়াও সৌদি আরব, ওমান, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও কাতার দখল করতে চাচ্ছিলেন।

সাদ্দাম সেই সময় বার বার ইরানের রাষ্ট্রীয় নেতৃবৃন্দের কাছে চিঠি লিখতেন ও আরব দেশগুলো দখলে শরিক হয়ে এ অঞ্চল ভাগাভাগি করারও ইঙ্গিত দিতেন বলে রুহানি উল্লেখ করেন।

ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেলের সংবাদে প্রেসিডেন্ট রুহানির এই বক্তব্য প্রচার করা হয়েছে।

রুহানি তার দেশের বিরুদ্ধে মার্কিন তেল-নিষেধাজ্ঞায় সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের সহযোগিতার বিষয়ে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ট্রাম্প অল্প দিনই ক্ষমতায় থাকবেন কিন্তু এ অঞ্চলের আরব সরকারগুলোর প্রতিবেশী দেশ ইরান চিরকাল টিকে থাকবে।

ইরানের বিরুদ্ধে ৮ বছরের যুদ্ধে সাদ্দামকে সর্বাত্মক সহায়তা দিয়েছিল পাশ্চাত্যসহ সব পরাশক্তি ও পারস্য উপসাগরীয় আরব দেশগুলো। সে সময় কেবল সিরিয়া ইরানের পাশে ছিল ও ইরানকে সহযোগিতা করেছিল। দ্যা এশিয়ান জার্নালস

পাঠকের মতামত

Comments are closed.