222131

নিজের না থাকয় অন্যের ঘোড়ায় প্রতিযোগিতা করেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে তাসমিনার দৃষ্টান্ত

ডেস্ক রিপোর্ট : উত্তরাঞ্চলের যেকোনো ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় তাসমিনার অংশগ্রহণ মানেই দর্শকের বাড়তি আগ্রহ। এ ধরনের প্রতিযোগিতায় তাসমিনাকে বরাবরই চ্যাম্পিয়ন হতে দেখে অভ্যস্ত দর্শকরা। তাই প্রতিযোগিতায় সবাই লড়াই করে দ্বিতীয় স্থানের জন্য। প্রথম স্থানটা যে এই কিশোরী নিজের করে রেখেছে।- সময় টিভি

তাসমিনা বলেন, আমার ভালো ঘোড়া নেই। তাই প্রতিযোগিতায় সাধারণত অন্যের ঘোড়া দিয়ে অংশ নিতে হয়। জেতার পর পুরস্কারটাও তুলে দিতে হয় ঘোড়ার মালিকের হাতে।

একটি ভালো ঘোড়ার মালিক হওয়ার স্বপ্ন তাসমিনার। যে ঘোড়া নিয়ে দেশ বিদেশের বড় বড় সব প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে সে। তাসমিনার বাবা ওবায়দুল হক জানান, ঘোড়দৌড়ে প্রথম পুরষ্কার ঠিকই তাসমিনা পায়, কিন্তু তা দিয়ে দিতে হয় ঘোড়া মালিককে। নিজের ভাল ঘোড়া না থাকায় অন্যের ঘোড়া নিয়ে প্রতিযোগিতায় নেমে বিজয়ী হয়েও ভেঙে যায় তার মন।

শৈশব থেকেই ঘোড়দৌড়ের প্রতি তাসমিনার প্রবল আগ্রহ। এই আগ্রহই তকে পরিণত করেছে দক্ষ ঘোড় সওয়ারীতে। তাসমিনার স্বপ্ন পুলিশে যোগ দেয়া। কারণ, দেশ বিদেশের ঘোড়দৌড় প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে চায় সে।

মেয়ে হয়ে ঘোড়দৌড়ের মতো কঠিন প্রতিযোগিতায় আসাটা প্রথম দিকে স্থানীয়রা বাঁকা চোখে দেখলেও এখন দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন হয়েছে। স্থানীয় শংকরপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোফাজ্জল হোসেন বলেন, তাসমিনার ভেতর একটি সুপ্ত চেতনা আছে এগিয়ে যাওয়ার। আমরা তার জন্য দোয়া করি সে যেন বিদেশের মাটিতে রেসে অংশ নিতে পারে। ঘোড়াদৌড়ের পাশাপাশি পড়ালেখায়ও সফলতা ধরে রেখেছে তাসমিনা। বর্তমানে স্থানীয় একটি বালিকা বিদ্যালয়ে ৮ম শ্রেণিতে পড়ছে। তাসমিনা জানায়, আমার ইচ্ছে বড় হয়ে আমি পুলিশে যোগ দিবো। সেখান থেকে যেন বিদেশে রেসে অংশ নিয়ে দেশের জন্য সুনাম বয়ে আনতে পারি।

পাঠকের মতামত

Comments are closed.